রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় বলছে, ক্রাইমিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইউক্রেইন। এতে হতাহতের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রকে পরিণতি ভোগ করতে হবে।
Published : 24 Jun 2024, 08:06 PM
অধিকৃত ক্রাইমিয়া উপদ্বীপের সেভাস্তোপোলে ইউক্রেইনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এবং হতাহতের ঘটনায় মস্কোয় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে রাশিয়া। হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দোষারোপ করে এর পরিণতি ভোগ করার হুমকি দিয়েছে তারা।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন ট্র্যাসিকে তলব করে হামলার নিন্দা জানায়। এরপর এক বিবৃতিতে এ নৃশংস হামলায় যুক্তরাষ্ট্র জড়িত বলে দোষারোপ করে ‘এর সাজা না হয়ে যাবে না’ বলে শাসিয়েছে রাশিয়া।
রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় বলছে, ইউক্রেইন যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছুড়েছে সেগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞরা এসব ক্ষেপণাস্ত্র উড্ডয়নের গতিপথ নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
গত রোববার সেভাস্তোপোলে ওই হামলা হয়। এতে দুই শিশুসহ চারজন নিহত এবং প্রায় ১৫০ জন আহত হয়। ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ গিয়ে পড়েছিল কাছের একটি সৈকতে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এই হামলাকে বর্বরোচিত আখ্যা দিয়েছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রাশিয়ার শিশুদেরকে হত্যার অভিযোগ করেছেন।
তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মন্তব্যের দিকে ইঙ্গিত করেন, যিনি (পুতিন) সম্প্রতি এক মন্তব্যে বলেছেন, ইউক্রেইনে অস্ত্র সরবরাহ করা দেশগুলোকে হামলার নিশানা করবে রাশিয়া।
রাশিয়া বলছে, ক্রাইমিয়ায় রোববার ইউক্রেইনীয় বাহিনীর হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা গুচ্ছবোমা ওয়ারহেডযুক্ত পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে মস্কোর আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। সেগুলোর ধ্বংসাবশেষ পড়েই ঘটেছে হতাহতের ঘটনা।
বিবিসি জানায়, ইউক্রেইনকে একবছরের বেশি সময় ধরে এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। লকহিড মার্টিনের তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থায় ইউক্রেইনীয় বাহিনী ৩০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে।
রাশিয়া ২০১৪ সালে ইউক্রেইনের ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ অবৈধভাবে দখল করে নিজেদের ভূখন্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করে নিয়েছে। সেকারণে উপদ্বীপটিকে রাশিয়ার অঞ্চল হিসাবে স্বীকৃতি দেয় না বেশিরভাগ দেশ। ফলে রাশিয়ার মাটিতে ইউক্রেইনের মার্কিন অস্ত্র হামলা না চালানোর যুক্তরাষ্ট্রের শর্তের আওতায় পড়ে না এই উপদ্বীপ।
তবে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের মুখপাত্র পেসকভ সোমবার বলেছেন, “হামলায় যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িত। যার ফলে রাশিয়ার নাগরিকরা মারা গেছে। এর পরিণতি ভোগ করতেই হবে তাদেরকে। সেই পরিণতি কী হবে সময়ই তা বলে দেবে।”