আবহাওয়া প্রতিকূল থাকায় গত মাসে এক সপ্তাহের মধ্যে তিনবার এই উৎক্ষেপণ স্থগিত করা হয়েছিল।
Published : 10 Feb 2024, 06:06 PM
যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন ও ভারতের পর চাঁদে নামা পঞ্চম দেশ হওয়ার লক্ষ্যে একটি মহাকাশযান পাঠিয়েছে জাপান।
বৃহস্পতিবার জাপানের একটি এইচ-টুএ রকেট চাঁদে নামানোর জন্য একটি ল্যান্ডার নিয়ে সফলভাবে মহাকাশের দিকে যাত্রা করে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ওই ল্যান্ডার চাঁদে নামবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জাপানের মহাকাশ অনুসন্ধান সংস্থা (জেএএক্সএ) জানিয়েছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের তানেগাশিমা মহাকাশ কেন্দ্র থেকে রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছে রকেটের সঙ্গে থাকা ‘স্মার্ট ল্যান্ডার ফর ইনভেস্টিগেটিং মুন’ বা এসএলআইএম সফলভাবে বিমুক্ত হয়।
আবহাওয়া প্রতিকূল থাকায় গত মাসে এক সপ্তাহের মধ্যে তিনবার এই উৎক্ষেপণ স্থগিত করা হয়েছিল। আর গত বছর দুইবার চাঁদে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয় জাপানের মহাকাশযান।
জাপানের এই মহাকাশযানটিকে ‘মুন স্নাইপার’ নামেও ডাকা হচ্ছে। চাঁদের শিওলি ক্রেটারের ১০০ মিটারের মধ্যে এসএলআইএমকে নিরাপদে নামানোর লক্ষ্য ঠিক করেছেন দেশটির বিজ্ঞানীরা।
জ্বালানি বাঁচানোর বিভিন্ন কৌশল ব্যবহারের কারণে ‘মুন স্নাইপারের’ এই যাত্রায় দীর্ঘ সময় লাগবে। এই প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ১০ কোটি ডলার।
জেএএক্সএ এর সভাপতি হিরোমি ইয়ামাকাওয়া এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, চন্দ্রপৃষ্ঠের যেখানে তারা নামতে চান, সেখানে এসএলআইএমকে নিখুঁতভাবে নামানোই তাদের লক্ষ্য।
পৃথিবী থেকে চাঁদের নিকটবর্তী পাশে ম্যারি নেকতারিস (অমৃত সাগর) নামের চন্দ্র সাগরের কাছেই অবতরণ করবে এসএলআইএম। দেখতে কিছুটা অন্ধকার চাঁদের ওই অঞ্চলটি পৃথিবী থেকে দেখা যায়। এসএলআইএম প্রাথমিক উদ্দেশ্য অত্যাধুনিক অপটিক্যাল ও ইমেজ প্রসেসিং প্রযুক্তি পরীক্ষা করে দেখা।
অবতরণের পর চন্দ্রযানটি চাঁদের উৎপত্তি সম্পর্কিত সূত্রের সন্ধানে ম্যারি নেকতারিসের কাছে জলপাই রঙা পাথরের গঠন বিশ্লেষণ করবে। এসএলআইএম এ চন্দ্র পৃষ্ঠে ঘুরে বেড়ানোর মত কোনো লুনার রোভার রাখা হয়নি।
দুই সপ্তাহ আগে ভারতের চন্দ্রযান চাঁদে সফলভাবে অবতরণ করে। ভারতই বিশ্বের প্রথম দেশ, যারা চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে রোভার নামাতে পেরেছে। সংবাদসূত্র: রয়টার্স
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)