আটক পণ্যবাহী জাহাজটির মালিক ব্রিটিশ এবং জাপানের নিপ্পন ইউসেন শিপিং কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত।
Published : 20 Nov 2023, 05:52 PM
ইয়েমেনের হুতি মিলিশিয়া ‘ইসরায়েলের’ মনে করে লোহিত সাগর থেকে যে পণ্যবাহী জাহাজটি ছিনতাই করে নিয়ে গেছে সেটি আসলে জাপান পরিচালিত কার্গো জাহাজ গ্যালাক্সি লিডার।
জাপান সরকারের একজন মুখপাত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গাড়িবাহী ওই জাহাজটি নিপ্পন ইউসেন এর অধীনে পরিচালিত হয়।
জাপান জাহাজটি ছাড়িয়ে আনতে আলোচনা শুরু করেছে বলে দেশটির প্রধান কেবিনেট সেক্রেটারির বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু জাহাজ ছিনতাইয়ের এ ঘটনার জন্য ইরানকে দায়ী করেছেন। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের সমর্থন করে ইরান।
নেতানিয়াহু বলেন, “ওই জাহাজ বা জাহাজের ক্রু, কেউই ইসরায়েলি নয়। এটা আন্তর্জাতিক পণ্য পরিবহন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ইরানের হামলা।”
বিবিসি জানায়, ব্রিটিশ মালিকানাধীন ওই জাহাজটি ছিনতাইয়ের সময় সেটিতে ২২ জন আরোহী ছিলেন।
ইয়েমেন উপকূলে জব্দ হওয়া জাহাজটি ভারতে যাচ্ছিল বলে জানিয়েছে নিপ্পন ইউসেন। সেটি তুরস্ক থেকে রওয়ানা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।
জাপানের চিফ কেবিনেট সেক্রেটারি হিরোকাজু মাৎসুনো বলেন, “এই মুহূর্তে, পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থা তথ্য সংগ্রহ করছে এবং জাহাজটি ও তার ক্রুদের দ্রুত মুক্তির জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলির সাথে কাজ করছে।।”
ছিনতাই হওয়া জাহাজটির ক্রুদের মধ্যে বুলগেরিয়া এবং ফিলিপিন্সের নাগরিকরা রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কোনো জাপানি নাগরিক নেই।
এদিকে, ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহইয়া আল-সারেয়া দাবি করেন, জাহাজটি ইসরায়েলি এবং সেটিকে ইয়েমেনের একটি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
হামাস যোদ্ধাদের নির্মূল করতে গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। যার প্রতিক্রিয়ায় হুতি বিদ্রোহীরা আগেই হুমকি দিয়ে বলেছিল, তাদের নাগালের মধ্যে কোনো ইসরায়েলি জাহাজ এলেই তারা সেটাকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করবে।
গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে কয়েক ঘণ্টা ধরে হামলা চালিয়ে ১৪শ’র বেশি মানুষকে হত্যা এবং আরো ২৪২ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। পাল্টা জবাব হিসেবে ওই দিন থেকে গাজার উপর তীব্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। যে হামলা এখনো চলছে এবং প্রতিনিয়ত তা তীব্র থেকে তীব্রতর রূপ নিচ্ছে।