সুদানে তিন দিন ধরে চলা লড়াইয়ের তৃতীয় দিন সকালে রাজধানী খার্তুমে ব্যাপক বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা গেছে।
সুদানের গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারী গোষ্ঠী ‘সেন্ট্রাল কমিটি অব সুদানিজ ডক্টরস’ এরদেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শনিবার থেকে শুরু হওয়া এ সহিংসতায় প্রায় ৯৭ জন বেসামরিক নিহত ও ৩৬৫ জন আহত হয়েছেন।
দেশটির সরকার হতাহতের কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি আর দেশটির কর্তৃত্ব এখন কার হাতে তাও পরিষ্কার নয়, প্রাণঘাতী লড়াইয়ের মধ্যেই পরস্পর বিরোধী বর্ণনা আসছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
সুদানের সেনাবাহিনী ও প্রতিদ্বন্দ্বী আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এর নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে এ লড়াইয়ের সূত্রপাত।
আহতদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য দুই পক্ষ রোববার কয়েক ঘণ্টার জন্য যুদ্ধবিরতি অনুমোদন করেছিল।
রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমের অনুপস্থিতিতে সেনাবাহিনী ও আরএসএফ পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দেওয়ার জন্য প্রধানত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করছে। খার্তুমের প্রতিবেশী ওমদুরমান শহরে রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমের সদরদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার সেখানে জন্য দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই শুরু হলে রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমের সরাসরি সম্প্রচার হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যায়।
এর পাশাপাশি কমান্ড সেন্টার, বিমান ঘাঁটি ও প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের মতো কৌশলগত স্থাপনাগুলো নিয়েও দু’পক্ষের মধ্যে লড়াই চলছে।
সেনাবাহিনীর প্রধান ও দেশটির ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট জেনারের আব্দেল ফাত্তা আল বুরহান ও হেমেতি নামে পরিচিত তার ডেপুটি ও আরেএসএফ প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালোর মধ্যে ক্ষমতা দ্বন্দ্বে তাদের অনুগত বাহিনীগুলোর মধ্যে লড়াই শুরু হয়।
২০১৯ সালে দেশটির দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য শুরু হওয়া এক গণঅভ্যুত্থান ছিনিয়ে নেওয়ার পর থেকে সেনাবাহিনী সব ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে শুরু করে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, সোমবার ভোররাত থেকে খার্তুমে বোমা বর্ষণ ও বিমান হামলার শব্দ শোনা যেতে থাকে এবং তা প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলে, এরপর থেকে প্রবল হামলা বন্ধ হলেও কামান থেকে গোলাবর্ষণ চলছিল।
সুদানের ক্ষমতাসীন কাউন্সিলের শীর্ষ দুই পদে থাকা দুই নেতারা অনুগত বাহিনীগুলোর মধ্যে চলা এ লড়াই দেশটির অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: