সুদানের আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) দেশটির প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ, সেনাপ্রধানের বাসভবন এবং খার্তুম আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের দখল নেওয়ার দাবি করেছে।
ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান চেষ্টার অংশ হিসেবে শনিবার দেশটির প্রভাবশালী বাহিনী আরএসএফ ওইসব স্থানের দখল নেয় বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
আরএসএফ এবং সুদানের সেনাবাহিনীর মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা চলছে। শনিবার যা সংঘাতের রূপ নেয়।
যদিও আরএসএফ’র অভিযোগ, সেনাবাহিনীই প্রথম তাদের উপর আক্রমণ করেছে।
আরএসএফ উত্তরের নগরী মেরোউই এবং পশ্চিমের নগরী এল-অবেইদ এ অবস্থিত দুইটি বিমানবন্দরের দখল নেওয়ার দাবিও করেছে।
এদিকে, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, সুদানের বিমান বাহিনী আরএসএফর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে রাজধানী খার্তুমের আকাশে সামরিক উড়োজাহাজ চক্কর দিতে দেখা গেছে। যদিও রয়টার্স স্বাধীনভাবে ওই ফুটেজের সত্যতা নিশ্চিত হতে পারেনি।
খার্তুমের বেশ কয়েকটি অংশে গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়া গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা রাজধানীর আশেপাশের নগরীগুলোতেও গোলাগুলির কথা জানিয়েছেন।
রয়টার্সের একজন সাংবাদিক সড়কে কামান ও সাঁজোয়া যান দেখতে পেয়েছেন। সেনাবাহিনী এবং আরএসএফ উভয়ের সদরদপ্তরের কাছে ভারি গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে।
কাছের আবাসিক এলাকাগুলোতেও সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে এবং বেসামরিক লোকজন আহত হয়েছেন বলে জানান চিকিৎসকরা।
সেনাবাহিনীর দাবি, আরএসএফ বেশ কয়েকটি স্থানে তাদের বাহিনীর উপর হামলার চেষ্টা করে।
আরএসএফ এর নেতৃত্বে আছেন সুদান সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালু, যিনি হেমেতি নামে অধিক পরিচিত।
উত্তর আফ্রিকার দরিদ্র দেশ সুদান অর্থনৈতিকভাবে আগে থেকেই ভঙুর অবস্থায় রয়েছে। দেশটির নানা আদিবাসী সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে সহিংসতার ইতিহাসও দীর্ঘ। এ অবস্থায় আরএসএফ এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে চলতে থাকা সংঘর্ষ দেশটির নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরো অনেক বেশি খারাপ করে তুলবে।