গাজায় বেপরোয়া হামলা চালানোর জন্য ইসরায়েলের কঠোর সমালোচনা করেছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ বলিভিয়া, কলম্বিয়া ও চিলি।
Published : 01 Nov 2023, 11:59 AM
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ‘আক্রমণাত্মক ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ’ আক্রমণ চালানো জন্য ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ বলিভিয়া।
এর পাশাপাশি দক্ষিণ আমেরিকার আরও দুটি দেশ কলম্বিয়া ও চিলি পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে নিযুক্ত তাদের রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠিয়েছে।
এই তিনটি দেশ গাজায় বেপরোয়া হামলা চালানোর জন্য ইসরায়েলের কঠোর সমালোচনা করেছে আর এতে ফিলিস্তিনি নাগরিকদের মৃত্যুর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলিভিয়ার উপপরাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রেদি মামানি বলেন, “গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর আক্রমণাত্মক ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ হামলার নিন্দা জানিয়ে ও তা প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েলি রাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলিভিয়া।”
তিনটি দেশই যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। আর বলিভিয়া ও চিলি গাজায় মানবিক ত্রাণ সরবরাহের পথ খোলার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের জন্য ইসরায়েলকে দোষারোপ করেছে।
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো সামাজিক মাধ্যম এক্স এ এক পোস্টে গাজায় ইসরায়েলি হামলাকে ‘ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর চালানো গণহত্যা’ বলে অভিহিত করেছেন।
এ বিষয়ে রয়টার্সের জানানো মন্তব্যের অনুরোধে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।
ল্যাটিন আমেরিকার অন্যান্য দেশ বিশেষ করে ব্রাজিল ও মেক্সিকো গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।
শুক্রবার ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুয়িজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা বলেছেন, “এখন আমরা যা দেখছি তা হল ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর উন্মাদনা, যিনি গাজা ভূখণ্ডকে মুছে দিতে চান।”
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধকে কেন্দ্র করে দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা প্রথম দেশগুলোর মধ্যে বলিভিয়া অন্যতম।
এর আগে ২০০৯ সালে গাজায় ইসরায়েলের পদক্ষেপের বিরোধিতা করে প্রতিবাদে দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল বলিভিয়া। তখন বামপন্থি এভো মোরালিস দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
২০২০ সালে বলিভিয়ার ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট ইয়ানিন আনেজ ইসরায়েলর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
সোমবার সামাজিক মাধ্যমে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুইস আরসি বলেন, “গাজায় যে যুদ্ধপরাধ হচ্ছে তা প্রত্যাখ্যান করছি আমরা। আন্তর্জাতিক আইন মেনে মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার আন্তর্জাতিক উদ্যোগকে সমর্থন করি আমরা।”
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের অবিরাম হামলায় এ পর্যন্ত ৩৫৪২ শিশুসহ ৮৫২৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটির প্রায় ২৩ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ১৪ লাখ ইতোমধ্যেই বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
আরও পড়ুন: