২০০৯ সালে মারা যান বিশ্বখ্যাত গায়ক মাইকেল জ্যাকসন।
Published : 19 Aug 2023, 10:54 PM
শিশু বয়সে মাইকেল জ্যাকসনের যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন এমন অভিযোগে মামলা করা দুই ব্যক্তি এখন প্রয়াত এই গায়কের কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা পুনরুজ্জীবিত করতে পারবে বলে আদেশ জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত।
বর্তমানে ৪০’র কোটায় থাকা ওয়েড রবসন এবং জেমস সেফচাক উভয়ই দাবি করেছেন, তারা যখন শিশু তখন জ্যাকসন কয়েক বছর ধরে তাদের উপর যৌন নিপীড়ন চালিয়েছেন।
১৯৮০’র দশকের শেষভাগ থেকে ১৯৯০’র দশকের শুরুর ভাগ পর্যন্ত ওই নিপীড়ন চলেছে বলেও দাবি করে ওই দুই ব্যক্তি। ওই সময় মাইকেল জ্যাকসন তার নেভারল্যান্ড র্যাঞ্চে বসবাস করতেন।
তাদের এই দাবির ভিত্তিতে ২০১৯ সালে ব্রিটিশ চলচ্চিত্র পরিচালক ড্যান রিড ‘লিভিং নেভারল্যান্ড’ নামে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেন। যে তথ্যচিত্রকে ‘পাবলিক লিঞ্চিং’ বলে বর্ণনা করেছেন জ্যাকসনের পরিবার।
২০০৯ সালে মাইকেল জ্যাকসন মারা যান।
তার বিরুদ্ধে ছেলে শিশুদের ধর্ষণের প্রথম অভিযোগ উঠে সেই ১৯৯৩ সালে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন আদালতে জ্যাকসনের বিরুদ্ধে শিশুদের যৌন নিপীড়নের বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে।
বিবিসি জানায়, জ্যাকসনের কোম্পানির বিরুদ্ধে রবসন এবং সেফচাকের মামলা এর আগে আদালত আটকে দেয়।
তারমধ্যে ২০২০ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসের একজন বিচারক এই আদেশ জারি করেন যে, সেফচাক মাইকেল জ্যাকসনের কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন না। কারণ, কোম্পানিগুলোর তার প্রতি দায়িত্বশীল হওয়ার দায় ছিল না।
তার এক বছর পর একই বিচারক একই কারণে করা রবসনের মামলাও একই রায় দেন।
কিন্তু শুক্রবার ক্যালিফোর্নিয়ার একটি আপিল আদালত লস অ্যাঞ্জেলেসের বিচারকের রায় নিয়ে দ্বিমত পোষন করে বলেন, “একটি কর্পোরেশন যে তার একজন কর্মীকে শিশুদের যৌন নির্যাতন করার সুযোগ দেয় তারা কোনো যুক্তিতেই সেই শিশুদের রক্ষা করার দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে বা ক্ষমা পেতে পারে না। তার উপর কোম্পানি শুধুমাত্র যৌন নির্যাতনকারীর একার মালিকানাধীন।
“শুধুমাত্র একজন শেয়ারহোল্ডার থাকা কর্পোরেট বিবাদীর উপর ভিত্তি করে কোন ধরণের দায়িত্ব গ্রহণ না করার সুযোগ পাওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত হবে না। তাই আমরা কর্পোরেশনের পক্ষে যাওয়া রায় বদলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিচ্ছি।”
সেফচাক এবং রবসনের আইনজীবীদের একজন ভিঞ্চি ফিনাল্ডি বলেন, আদালত আগে দেওয়া ‘এই মামলার ভুল রায় পাল্টে দিয়েছেন। যে রায় ক্যালিফোর্নিয়ার আইনের বিরুদ্ধে ছিল এবং শিশুদের বিপন্ন করার বিপজ্জনক এক নজির স্থাপন করেছিল’।
এদিকে, জ্যাকসনের এস্টেটের একজন আইনজীবী বলেন, জ্যাকসন যে নির্দোষ সে বিষয়ে তার ‘বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই’। বলেন, এইসব অভিযাগ ‘সব বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ এবং স্বাধীন সূত্রে পাওয়া তথ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক’।