চীনের পাল্টা পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা চীনা পণ্যে ১০০ শতাংশেরও বেশি শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।
Published : 08 Apr 2025, 01:11 PM
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী একটি বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর চীন বলেছে তারা যুক্তরাষ্ট্রের ‘ব্ল্যাকমেইলিংয়ের’ এর কাছে মাথা নত করবে না।
মঙ্গলবার ক্ষতিগ্রস্ত শেয়ার বাজার স্থিতিশীল হওয়ার পরও বিস্তৃত শুল্ক প্রশমিত হওয়ার উল্লেখযোগ্য কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।
ট্রাম্প যেসব দেশের ওপর পাল্টা ‘সম্পূরক শুল্ক’ চাপিয়েছেন তার মধ্যে চীনের পণ্যে দেওয়া ৩৪ শতাংশ শুল্কের বদলায় বেইজিংও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি পণ্যে একই হারে শুল্ক বসিয়েছে। এর প্রতিক্রিয়া বুধবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা চীনা পণ্যে ১০০ শতাংশেরও বেশি শুল্ক আরোপ করার হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, “চীনের বিরুদ্ধে আরও অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এটি হবে ভুলের ওপরে আরেক ভুল। এটি আরেকবার মার্কিন পক্ষের প্রতারণামূলক চরিত্র তুলে ধরেছে। যুক্তরাষ্ট্র যদি এ পথেই থাকতে চায়, চীন শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে।”
সোমবার চীনের ব্লু চিপস শেয়ারবাজার সূচক ৭ শতাংশেরও বেশি পতন ঘটে, এরপর আবার এক শতাংশ বেড়ে কিছুটা ক্ষতিপূরণ করে। হংকংয়ের হান সেং ( এইচএসআই) সূচক ১৯৯৭ সালের পর থেকে সবচেয়ে বাজে দিন কাটানোর পর আবার দুই শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাণিজ্য কেন্দ্রগুলোর নেতারা শেয়ারের এসব দরপতনের জন্য ‘বেপরোয়া’ শুল্ককে দায়ী করেছে, জানিয়েছে রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারের দরও এক বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে তলানিতে নেমে গিয়েছিল, সেখানেও দর বাড়ার আভাস পাওয়া গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা প্রায় সব ধরনের পণ্যে ১০ শতাংশ ভিত্তি শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প আর কিছু কিছু দেশের ওপর চাপিয়েছেন শাস্তিমূলক অতিরিক্ত শুল্ক। আমদানি পণ্যে এসব শুল্ক আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পখাত পুনরুজ্জীবিত হবে বলে আশা ট্রাম্পের। তার অভিযোগ, দশকের পর দশক ধরে মুক্ত বাণিজ্যের ফলে মার্কিন শিল্পখাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: