ধারণা করা হচ্ছে, কারখানাটির গানপাউডার ইউনিটে বড় ধরনের এই বিস্ফোরণটি ঘটেছে আর তাতেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
Published : 01 Apr 2025, 05:14 PM
ভারতের গুজরাটে একটি আতশবাজি কারখানা ও গুদামে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৭ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজ্যটির বনাসকাণ্ঠা জেলার দিসা শহরের কারখানা ও গুদামটিতে ভয়াবহ এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন, জানিয়েছে পুলিশ।
নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবর অনুযায়ী, ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দিসার দমকল বাহিনী ও ১০৮টি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যে ধারণা করা হচ্ছে, কারখানাটির গানপাউডার ইউনিটে বড় ধরনের এই বিস্ফোরণটি ঘটেছে আর তাতেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
বিস্ফোরণটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে সংলগ্ন একটি গুদাম ধসে পড়ে আর ধ্বংসাবশেষ ২০০ মিটার দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। শ্রমিকরা আতশবাজি তৈরি করার সময় বিস্ফোরণটি ঘটে।
বিস্ফোরণের ফলে কারখানাটিতে থাকা মানুষের দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অনেক দূর পর্যন্ত ছিটকে পড়ে। এমনকি আশপাশের জমিতেও দেহাবশেষ পাওয়া গেছে। বিস্ফোরণের পর আগুন ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। তারমধ্যেই দমকল কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে থাকেন।
তীব্রভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আতশবাজি কারখানাটিতে বেআইনি ভাবে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক মজুত করে রাখা হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে তারা।
বনাসকাণ্ঠার জেলা প্রশাসক মিহির পাটেল বলেন, ‘‘দিসা শিল্প এলাকায় বড় একটি বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে খবর পাই আমরা। দমকলবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা শুরু করে। ঘটনাস্থলেই ১০ শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
“আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় কারখানাটির একাংশ ধসে পড়েছে।”
পরে আরও সাতজনের মৃত্যু হয় বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
আনন্দবাজার পত্রিকা লিখেছে, এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে কয়েকজন শ্রমিক চাপা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে ওই কারখানায় ঠিক কতোজন শ্রমিক কাজ করছিলেন এবং তাদের মধ্যে কতোজন নিরাপদে আছেন সে বিষয়ে পরিষ্কার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
বিস্ফোরণে কারখানাটির মেঝে ভেঙে পড়েছে। এখানে কাজ করা শ্রমিকদের পরিবারগুলো কারখানা প্রাঙ্গণেই বসাবাস করেন। কয়েক ঘণ্টা চেষ্টার পর দমকলের টিমগুলো আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।