ট্রাম্প শুল্ককে মার্কিন পণ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও এই খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির একটি উপায় হিসেবে দেখছেন।
Published : 09 Apr 2025, 02:20 PM
বাণিজ্য যুদ্ধ এমন একটি সংঘাত যেখানে দু’টি বা ততোধিক দেশ বিদেশ থেকে আমদানির ওপর কর আরোপ করে অথবা তাদের দেশে আসা পণ্যের সংখ্যা সীমিত করে।
অন্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা থেকে নিজেদের শিল্পগুলোর সুরক্ষায় দেশগুলো প্রায়ই এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে থাকে।
বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য যুদ্ধ গভীর করে প্রায় ৬০টি দেশের ওপর চাপানো প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ‘পাল্টা’ শুল্ক বুধবার থেকে কার্যকর হয়েছে। এরমধ্যে চীনের পণ্যে আরোপিত ১০৪ শতাংশ শুল্কও আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কয়েকটি দেশের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তুতি নিলেও বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধ এড়ানো যায়নি। এই শাস্তিমূলক শুল্ক কয়েক দশক ধরে বিরাজমান বিশ্ব বাণিজ্যের ধারায় ভূমিকম্প ঘটিয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুল্ককে মার্কিন পণ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও এই খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির একটি উপায় হিসেবে দেখছেন। কিন্তু তার সিদ্ধান্তের কিছু পরিণতি রয়েছে। তার আরোপ করা শুল্কের কারণে বহু পণ্যের মূল্য বেড়ে যেতে পারে।
বিশ্বজুড়ে স্টক এক্সচেঞ্জগুলোতে দরপতন হচ্ছে আর বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের প্রধান লক্ষ্য চীন। তবে অনেক বলতে পারেন, বিশ্বের দুই শীর্ষ অর্থনীতির বাণিজ্য যুদ্ধ এই সপ্তাহে শুরু হয়নি বরং নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ চলাকালেই ২০১৮ সালে চীনের নির্দিষ্ট কিছু পণ্যে শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল আর তখন থেকেই বিষয়টি শুরু হয়েছিল।
তবে বাকি বিশ্বের জন্য এই বাণিজ্য যুদ্ধ অবশ্যই নতুন। ট্রাম্পের শুল্কের জবাবে কোন দেশ কী পদক্ষেপ নেয় তা দেখতে সামনে তাকিয়ে থাকতে হবে।