রাশিয়ার দাগেস্তান প্রজাতন্ত্রের প্রধান দুই গুরুত্বপূর্ণ শহর মাখাচকালা ও ডারবেন্টে বন্দুকধারীরা একযোগে হামলা চালিয়েছে।
Published : 24 Jun 2024, 04:39 PM
রাশিয়ার মুসলিম প্রধান অঞ্চল দাগেস্তানে গির্জায় ও সিনাগগে ধারাবাহিক হামলার ঘটনায় সোমবার মৃত্যু বেড়ে ১৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে দাগেস্তানের প্রধান দুই গুরুত্বপূর্ণ শহর মাখাচকালায় ও ডারবেন্টে বন্দুকধারীরা সমন্বিত হামলা চালায়।
বন্দুকধারীরা প্রথমে ককেশসা অঞ্চলের প্রাচীন শহর ডারাবেন্টের একটি অর্থডক্স গির্জায় ও একটি সিনাগগে হামলা চালায়। তারা গির্জার একটি আইকনে আগুন লাগিয়ে দেয় ও এর প্রধান যাজক ফাদার নিকোলাই কাচেরনিকভকে (৬৬) নৃশংসভাবে হত্যা করে।
প্রায় একই সময় প্রায় ১২৫ কিলোমিটার উত্তরে দাগেস্তান প্রজাতন্ত্রের রাজধানী কাস্পিয়ান সাগর তীরবর্তী শহর মাখাচকালায় বন্দুকধারীরা একটি ট্র্যাফিক পুলিশ ফাঁড়িতে ও একটি গির্জায় গুলিবর্ষণ করে।
মাখাচকালার অ্যাসাম্পশন গিজার আশপাশে বন্দুকধারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর বন্দুক লড়াই শুরু হয়। এখান থেকে অনেক রাত পর্যন্ত ভারী স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের গুলির শব্দ শোনা যায় বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
সামাজিক মাধ্যমে আসা ভিডিও ফুটেজগুলোতে দেখা যায়, মাখাচকালার বাসিন্দারা আড়ালের খোঁজে শহরের মধ্য দিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছেন আর আকাশে ঘন ধোঁয়া উঠছে।
রাশিয়ার তদন্তকারী কমিটি জানিয়েছে, ১৫ জন পুলিশ সদস্য ও চারজন বেসামরিক নিহত হয়েছেন। অন্তত পাঁচজন হামলাকারী নিহত হয়েছেন। নিহত কিছু বন্দুকধারী ফুটপাতে পড়ে আছেন, স্থানীয় গণমাধ্যম এমনটি দেখিয়েছে।
সোমবার টেলিগ্রামে প্রকাশিত বার্তায় দাগেস্তান অঞ্চলের গভর্নর সের্গেই মেলিকোভ বলেছেন, “এটি দাগেস্তান ও পুরো দেশের জন্য দুঃখজনক একটি দিন।”
এই হামলার প্রস্তুতিতে বিদেশি বাহিনীগুলো জড়িত আছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি; কিন্তু বিস্তারিত কিছু জানাননি।
“এটি আমাদের ঐক্য ছিন্ন করার প্রচেষ্টা,” বলেছেন তিনি।
এ ঘটনায় দাগেস্তান তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে। গণমাধ্যমে আসা ছবিতে দেখা গেছে, নিহত পুলিশ কর্মকর্তাদের মৃতদেহগুলো সারিবদ্ধভাবে রেখে লাল কার্নেশন ফুল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এখনও এ হামলার ঘটনা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
এর আগে চলতি বছরের ২২ মার্চ রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর ক্রোকাস হলে এক সঙ্গীতানুষ্ঠানে জঙ্গি হামলায় ১৪৫ জন নিহত হয়েছিল। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) ওই হামলার দায় স্বীকার করেছিল।