উত্তরের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের বোমা হামলায় কয়েকজন নিহত এবং কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছে।
Published : 03 Dec 2023, 09:45 PM
গাজার বিস্তীর্ণ অনেক অঞ্চল জুড়ে রোববার তীব্র বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে বহু ফিলিস্তিনি নিহত এবং আহত হয়েছে। বোমা আঘাত হেনেছে উত্তরের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরেও।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, শরণার্থী শিবরে এই বিমান হামলায় কয়েকজন নিহত এবং কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছে।
রাফাহ’র পূর্বপ্রান্তেও ইসরায়েল ট্যাংকের গোলা ছুড়েছে বলে জানিয়েছে অধিবাসীরা। মৃত্যু এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। বলেছেন বাস্তুচ্যুত এক ফিলিস্তিনি।
অধিবাসীরা জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণের রাফাহ নগরীসহ খান ইউনিসেও জঙ্গিবিমান থেকে বোমা ফেলছে ইসরায়েল।
অধিবাসীরা জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণের রাফাহ নগরীসহ খান ইউনিসেও জঙ্গিবিমান থেকে বোমা ফেলছে ইসরায়েল। হাসপাতাল যুদ্ধক্ষেত্র হয়েছে উঠেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। আহতদের স্থান সংকুলান করতেও হিমশিম খাচ্ছে অনেক হাসপাতাল।
তবে বোমা হামলার এই খবরের বিষয়ে ইসরায়েল তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য করেনি।
গত শুক্রবার ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে লড়াইয়ে ৭ দিনের বিরতির অবসান ঘটার পর থেকেই নতুন করে এই অভিযান শুরু হয়েছে।
ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্রদেশ যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনি জনগণের আরও বেশি ক্ষতি না করার আহ্বান জানিয়ে আসার পরও ইসরায়েলি বাহিনী এই তীব্র বোমা হামলা চালাচ্ছে।
জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, নতুন করে শুরু হওয়া লড়াই গাজায় বিরাজমান তীব্র মানবিক সংকটকে আরও গভীর করে তুলবে।
গত ৭ অক্টোবর গাজার সীমান্ত সংলগ্ন ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস নজিরবিহীন হামলা চালায়। হামলায় ১২০০ জন নিহত হয়েছে এবং তাদের অধিকাংশই বেসামরিক বলে ইসরায়েল জানিয়েছে। ওই দিন প্রায় ২৪০ জনকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে জিম্মি করে রাখে হামাস।
হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে ওই দিন থেকেই প্রায় সবদিক থেকে গাজা অবরুদ্ধ করে ভয়াবহ আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। তাদের অবিরাম বোমাবর্ষণ ও গোলা হামলায় এ পর্যন্ত ১৫ হাজার ৫০০’র বেশি গাজাবাসী ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, এদের প্রায় ৪০ শতাংশ শিশু।