Published : 02 May 2025, 12:37 PM
বিহারের এক স্কুলে মিড ডে মিলে মরা সাপ পাওয়া এবং সেই খাবার খেয়ে শতাধিক শিক্ষার্থীর অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর নিয়ে তদন্তে নেমেছে ভারতের মানবাধিকার কমিশন।
মরা সাপটি সরিয়ে ফেলার পরও রাঁধুনি ওই খাবার পরিবেশন করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে, বিবৃতিতে বলেছে ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন (এনএইচআরসি)।
গত সপ্তাহে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় এ রাজ্যটির মোকামা শহরে এক সরকারি স্কুলের মিড ডে মিলে ‘মরা সাপ’ পাওয়া যায় বলে একাধিক স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে; সেদিন প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী স্কুলটির দুপুরের খাবার খেয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়া শুরু করলে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা একটি সড়ক আটকে বিক্ষোভও দেখায়, এনএইচআরসির বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।
“কমিশন বিষয়টি খতিয়ে দেখছে, যদি সত্যি হয়, তাহলে এটি শিক্ষার্থীদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর ঘটনা,” বলেছে এনএইচআরসি।
তারা বিহারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দুই সপ্তাহের মধ্যে ঘটনার বিস্তারিত প্রতিবেদন ও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের অবস্থা জানাতে বলেছে।
ভারতে প্রথম এ মিড ডে মিল চালু হয় ১৯২৫ সালে, তৎকালীন মাদ্রাজ, এখনকার চেন্নাইয়ে। দরিদ্র শিক্ষার্থীদের স্কুলে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চালু হওয়া এই কর্মসূচি এখন ভারতের সব রাজ্যেই আছে। যদিও এই মিড ডে মিলের মান নিয়ে প্রায়ই নানান অভিযোগ পাওয়া যায়।
২০১৩ সালে বিহারে ২৩ স্কুলশিক্ষার্থীর মৃত্যুর জন্য ‘বিষাক্ত খাবারকে’ দায়ী করা হয়েছিল। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় ওই খাবারে ‘খুবই বিষাক্ত’ কীটনাশকের উপস্থিতি মেলে বলে সেসময় পুলিশ জানিয়েছিল।
ভারতীয় গণমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড জানায়, মেকরা গ্রামের উপক্রমিত মধ্য বিদ্যালয়ে যেদিন মিড ডে মিলে মরা সাপ পাওয়া যায়, সেদিন দুপুরের খাবার খাওয়ার পর অনেক শিক্ষার্থীই মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাবের কথা জানায়।
পরে দুই ডজনের বেশি শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
গ্রামবাসী ও প্রত্যাক্ষদর্শীদের অভিযোগ, রান্নার সময় একটি সাপ খাবারের মধ্যে পড়ে বলে শুনতে পেয়েছেন তারা। সাপটি সরিয়ে ফেলা হয়, এবং পরে ওই খা্বারই শিক্ষার্থীদের খেতে দেওয়া হয়।
এরপর একাধিক শিক্ষার্থী বমি করা শুরু করলে হুলুস্থুল বেধে যায়। ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা পরে এনএইচ৩১ মহাসড়ক অবরোধ করে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।