গত জানুয়ারিতে পার্কিনসন রোগ বিশেষজ্ঞ হোয়াইট হাউজে বাইডেনের চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ রোগে ভুগছেন কিনা তা নিয়েও জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে।
Published : 07 Jul 2024, 07:49 PM
সমালোচনা যেন পিছু ছাড়ছে না যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। প্রথম প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্কে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপরীতে নড়বড়ে উপস্থাপনার পর ডেমোক্র্যাটদের উদ্বেগ নানাভাবে চেষ্টা করেও কমাতে পারছেন না বাইডেন।
তিনি পার্কিনসন রোগে ভুগছেন কিনা তা নিয়েও জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে পার্কিনসন রোগ বিশেষজ্ঞ কেভিন কানার্ড হোয়াইট হাউজে বাইডেনের চিকিৎসক কেভিন ও কনরের সঙ্গে দেখা করেন। দুইজনের মধ্যে কি কথা হয়েছিল তা জানা যায়নি। তবে খবরটি গণমাধ্যমে আসার পরই বিষয়টি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।
ওদিকে, ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কের পর বাইডেন তার দলের হতাশ নেতা ও সমর্থকদের উদ্বেগ কমাতে গত শুক্রবার রাতে একটি সাক্ষাৎকার দেন। কিন্তু এতে দলের নেতাদের আস্থা ফিরেছে বলে মনে হচ্ছে না।
পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের আরেক ডেমোক্র্যাট সদস্য মিনেসোটার ক্রেগ শনিবার বাইডেনকে প্রার্থিতা থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানান। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত পাঁচজন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা বাইডেনকে সরে যেতে বললেন।
এবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাইডেন তার নির্বাচনি বিতর্ককে কেবল একটি ‘বাজে অধ্যায়’ হিসাবে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, একমাত্র ঈশ্বরই আমাকে টলাতে পারবে।
কিন্তু ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে অস্বস্তি বাড়ছে, যদিও দলের কোনও সিনিয়র সদস্য তাকে পদত্যাগের আহ্বান জানাননি।
কোনও কোনও জরিপে বাইডেনের চেয়ে ট্রাম্পের ব্যবধান বাড়তে দেখা যাচ্ছে। ট্রাম্প এগিয়ে থাকলে সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতার পাশাপাশি প্রেসিডেন্সি ও প্রতিনিধি পরিষদের আসন হারানোর আশঙ্কা করছেন অনেকে।
এবিসির সাক্ষাৎকারের কয়েক মিনিট পর টেক্সাসের ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান লয়েড ডগেট, যিনি প্রথম প্রকাশ্যে বাইডেনকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন; তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে সরে যাওয়া নিয়ে বাইডেন সিদ্ধান্ত নিতে যত দেরি করবেন, নতুন প্রার্থীর জন্য সামনে এসে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারানো তত কঠিন হয়ে পড়বে।
ইলিনয়ের কংগ্রেসম্যান মাইক কুইগলি এবং ম্যাসাচুসেটসের সেথ মৌলটনসহ অন্যান্য হাউজ ডেমোক্র্যাটরা শুক্রবার বাইডেনকে সরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বুধবার অ্যারিজোনার ডেমক্র্যোট রাউল গ্রিজালভাও একই আহ্বান জানিয়েছিলেন।
তবে এবিসি-র সঙ্গে ২২ মিনিটের সাক্ষাৎকারে বাইডেন তার সহকর্মীদের কাছ থেকে সরে দাঁড়ানোর পরামর্শের বিষয়টি নাকচ করে বলেন, এরকম কিছু ঘটবে না।
আরেক মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকতে সক্ষম তা প্রমাণের জন্য বাইডেন তার শারিরীক মানসিক পরীক্ষা নিতে এবং এর ফল প্রকাশ করতেও অস্বীকৃতি জানান। তিনি এও বলেন যে, প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্যএবং নির্বাচনি দৌড়ে জয়ের জন্য তার চেয়ে যোগ্য আর কেউ আছে বলে তিনি মনে করেন না।