পাকিস্তানের এই সোয়াত উপত্যকাতেই তৎকালীন স্কুল শিক্ষার্থী মালালা ইউসুফজাই জঙ্গি হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন।
Published : 17 May 2023, 11:43 AM
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখওয়া প্রদেশের সোয়াত জেলার এক স্কুলের সামনে মোতায়েন করা পুলিশ কর্মকর্তার গুলিতে এক ছাত্রী নিহত এবং শিক্ষক ও ছাত্রীসহ সাতজন আহত হয়েছেন।
সোয়াত পুলিশের ডিপিও শফিউল্লাহ গান্দারপুরের ভাষ্য অনুযায়ী, হামলার এ ঘটনার পরপরই কনস্টেবল আলম খানকে গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি জানান, অভিযুক্তকে এর আগে দুইবার পুলিশ বাহিনী থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। গত বছর বাহিনীতে ফেরার পর তিন মাস আগে নিরাপত্তার জন্য ওই স্কুলের সামনে তাকে মোতায়েন করা হয়েছিল।
ঘটনার বিষয়ে আরও তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে এবং আইন অনুযায়ী অপরাধীকে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছে তিনি।
তিনি জানান, আহতদের সোয়াতের সাইদু শরিফ টিচিং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই হাসপাতালে ভর্তি আহত এক ছাত্রী পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডন ডটকমকে জানিয়েছেন, তাদের বহনকারী ভ্যানটি স্কুলের গেইট অতিক্রম করার সঙ্গে সঙ্গে ওই সন্দেহভাজন নির্বিচার গুলি চালানো শুরু করে।
“স্কুলের সব শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে চিৎকার শুরু করে আর তখনই লোকজন এসে জড়ো হয়,” বলেন এই শিক্ষার্থী।
পাকিস্তানের এই সোয়াত উপত্যকাতেই ২০১২ সালে তৎকালীন স্কুল শিক্ষার্থী মালালা ইউসুফজাই জঙ্গি হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন। স্কুল বাসে এক বন্দুকধারী ছোড়া গুলিতে তিনি মারাত্মক আহত হন। কয়েকদিন অচৈতন্য থাকার পর চিকিৎসকদের নিবিড় প্রচেষ্টায় তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন।
পরবর্তীতে পাকিস্তানের এই শিক্ষা আন্দোলনকর্মী সবচেয়ে কম বয়সে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান।