উসকানিমূলক এই প্রচ্ছদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের ফেডারেল সরকারকে উথাল পাতাল অবস্থার মধ্যে ফেলা ‘মাস্কের যুদ্ধ’ নিয়ে দীর্ঘ এক নিবন্ধও আছে।
Published : 09 Feb 2025, 06:12 PM
টাইম ম্যাগাজিনের সর্বশেষ সংখ্যার প্রচ্ছদে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ককে যেভাবে হোয়াইট হাউজের ওভাল অফিসে রেজুলুট ডেস্কের পেছনে প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে, তা ডনাল্ড ট্রাম্পের চোখ কপালে তুলে দিতেই পারে।
নাহলে তো ছবিটা খুব সাধারণ, লাল টকটকে কভারের মধ্যে কফি হাতে আমেরিকান ও প্রেসিডেন্সিয়াল পতাকার মাঝখানে, প্রেসিডেন্সিয়াল ডেস্কের পেছনে বসে আছেন।
উসকানিমূলক এই কভারের সঙ্গে ওয়াশিংটনের ফেডারেল সরকারকে উথাল পাতাল অবস্থার মধ্যে ফেলা ‘মাস্কের যুদ্ধ’ নিয়ে দীর্ঘ এক নিবন্ধও আছে, যা জানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের লাখ লাখ কর্মীর ভবিষ্যৎ এখন ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (ডিওজিই) প্রধানের দয়ার ওপর নির্ভর করছে।
এনডিটিভি লিখেছে, যা করতে চেয়েছিল, টাইম ম্যাগাজিন এরই মধ্যে সেই লক্ষ্য অর্জন করে ফেলেছে বলেই মনে হচ্ছে, যদিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কাঁধ নাচিয়ে জানিয়েছেন, তিনি এখনও সংখ্যাটি দেখেনইনি।
উল্টো ব্যঙ্গ করে জানতেও চেয়েছেন, “টাইম এখনও চলে?”
মনে হতে পারে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট বোধহয় নন্দিত-নিন্দিত ম্যাগাজিনটির খোঁজখবর রাখেন না। সেটা হওয়ার কথা নয়। কয়েক সপ্তাহ আগেই তো তাকে ২০২৪ সালের ‘পার্সন অব দ্য ইয়ার’ করায় তিনি ম্যাগাজিনটির ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন।
“এ নিয়ে দ্বিতীয়বার আমাকে এই সম্মান দিল টাইম ম্যাগাজিন, আমার মনে হয় এবারেরটা আমার বেশি ভালো লেগেছে,” ডিসেম্বরে এমনটাই বলেছিলেন তিনি।
ট্রাম্প প্রথম টাইমের পার্সন অব দ্য ইয়ার খ্যাতি পেয়েছিলেন ৮ বছর আগে, ২০১৬ সালে প্রথমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভের পর।
হোয়াইট হাউজে জাপানি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সময় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথোপকথনের এক পর্যায়ে টাইমের এই কভারের প্রসঙ্গটি ওঠে। জানতে চাওয়া হয় তিনি কভারটি দেখেছেন কিনা। এর উত্তরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, তিনি দেখেননি।
“না, টাইম ম্যাগাজিন এখনও চলে? আমি জানতামই না,” বলেছেন তিনি।
রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া বিলিয়নেয়ার মাস্কের ব্যাপক প্রশংসাও করেন। বলেন, “অপচয়, দুর্নীতি আর বিশাল বিশাল সব জালিয়াতি খুঁজে বের করে ইলন চমৎকার কাজ করছেন।”
ফেডারেল সরকারের ব্যয় ও আকার কমাতে ট্রাম্প ক্ষমতায় বসেই ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (ডিওজিই) দপ্তর খুলে মাস্ককে তার প্রধান বানিয়েছেন।
“তার চমৎকার কর্মীবাহিনী আছে,” বলেছেন ট্রাম্প।
টেসলার প্রধান নির্বাহী ও স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা মাস্ক শিগগিরই সংবাদ সম্মেলনে আসবেন এবং সেখানেই তিনি সরকারের কাঠামো রদবদলে তার ভূমিকার বিস্তারিত তুলে ধরবেন বলেও জানান প্রেসিডেন্ট।