এটা কী স্বল্প না দীর্ঘ মেয়াদের জন্য, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “যে কোনোটাই হতে পারে।”
Published : 26 Jan 2025, 03:30 PM
ইসরায়েলি সামরিক আক্রমণে বিধ্বস্তপ্রায় গাজা থেকে জর্ডান ও মিশরের আরও ফিলিস্তিনি নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
এটা কী স্বল্প না দীর্ঘ মেয়াদের জন্য, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “যে কোনোটাই হতে পারে।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট গাজাকে ‘ডেমোলিশন সাইট’ বা ধ্বংসযজ্ঞের স্থান অ্যাখ্যা দিয়েছেন বলেও জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সোয়া এক বছরের যুদ্ধে ইসরায়েলি বাহিনী ভূখণ্ডটির ৪৭ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে; এমন ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে যে এখন সেখানে ভয়াবহ মানবিক সংকট বিরাজ করছে।
কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। সেই বিরতির এক সপ্তাহ পার হওয়ার আগেই ট্রাম্প ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রসঙ্গে অবস্থান জানলেন।
গত বছর ওয়াশিংটন বলেছিলেন, তারা ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার বিপক্ষে।
মিশর, জর্ডান ও লেবাননে এমনিতেই বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনি শরণার্থীর বাস। তারা কবে ফিরবে, আদৌ ফিরতে পারবে কিনা তারই নিশ্চয়তা নেই।
এদিকে একাধিক মানবাধিকার সংগঠন ও ত্রাণ সংস্থা মাসের পর মাস ধরে গাজার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে এসেছে; যুদ্ধ এরই মধ্যে ভূখণ্ডটির প্রায় পুরো জনগোষ্ঠীকে উদ্বাস্তুতে পরিণত করেছে, ঠেলে দিয়েছে ক্ষুধাজনিত সংকটের দিকে।
এই নারকীয় যুদ্ধেও ইসরায়েলকে ধারাবাহিক সমর্থন দিয়ে আসায় বিশ্বজুড়ে ওয়াশিংটনের ব্যাপক সমালোচনা চললেও মিত্রকে ছাড়েনি যুক্তরাষ্ট্র। তাদের ভাষ্য, ইরানসমর্থিত বিভিন্ন গোষ্ঠী, যেমন গাজার হামাস, লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ইয়েমেনের হুতিদের মোকাবেলায় ইসরায়েলকে রক্ষায় এ সহায়তা অব্যাহত রাখছে তারা।
“আমি তাকে বলেছি, আপনি আরও দায়িত্ব নিন কেননা এখন পুরো গাজা উপত্যকাকে দেখলে এর অবস্থা যে লন্ডভণ্ড তা দেখা যাবে, সেখানকার অবস্থা খুবই ভয়াবহ। আমি চাই তিনি (ফিলিস্তিনি) লোকজন নিয়ে যান,” শনিবার জর্ডানের বাদশা আব্দুল্লাহর সঙ্গে হওয়া ফোনালাপ নিয়ে বলেন ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়া ট্রাম্প।
“আমি চাই মিশরও লোকজন নিক,” রোববার মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে টেলিফোনে কথা হবে জানিয়ে সাংবাদিকদের এমনটাই বলেন ট্রাম্প।
“আপনারা বলছেন প্রায় ১৫ লাখ মানুষের কথা, এদেরকে সরিয়ে নিতে হবে আমাদের,” বলেছেন ট্রাম্প।
২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর আগে ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ডে প্রায় ২৩ লাখ মানুষের বাস ছিল।
“সত্যিকার অর্থে এটা এখন ধ্বংসযজ্ঞের স্থান, প্রায় সব ধ্বংস হয়ে গেছে, সেখানকার মানুষজন মারা পড়ছে। তারচেয়ে আমি কিছু আরব দেশের সঙ্গে কথা বলে অন্য কোথাও ঘরবাড়ি বানিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছি, যেখানে তারা হয়তো শান্তিতে থাকতে পারবে,” বলেছেন ট্রাম্প।