যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট যুদ্ধে ধ্বংসস্তূপ হয়ে যাওয়া গাজা সাফ করতে সেখানে থাকা লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে জর্ডান ও মিশরে পাঠানোর প্রস্তাব দেন।
Published : 29 Jan 2025, 05:33 PM
যুদ্ধে ধ্বংসস্তুপ হয়ে যাওয়া গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নিয়ে জর্ডান ও মিশরে পুনর্বাসনের যে পরামর্শ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প দিয়েছেন, তা মেনে নেওয়া যায় না বলে সমালোচনা করেছেন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস।
বার্লিনে আয়োজিত এক সম্মেলনের বক্তব্যে গাজা নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে তিনি এ সমালোচনা করেন।
শলৎস বলেন, “যে কোনও পুনর্বাসন পরিকল্পনা, গাজার নাগরিকদের সেখান থেকে বের করে দেওয়া হবে এবং মিশর বা জর্ডানে পাঠানো হবে এমন যে কোনও চিন্তা-ভাবনাই গ্রহণযোগ্য নয়।”
ফিলিস্তিনের সংকট সমাধানে শলৎস ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের শান্তিপূর্ণভাবে পাশাপাশি বাস করার দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানে আবারও নিজের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ গাজার দায়িত্ব নেবে সেটি অবশ্যই স্পষ্ট হতে হবে।
প্রায় ১৫ মাসের যুদ্ধ শেষে মিশর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয় গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি। এতে শান্তি প্রতিষ্ঠার যে ক্ষীণ আশা জেগে উঠেছে তা হাতছাড়া করা যাবে না বলে মন্তব্য করেন শলৎস।
তিনি বলেন, গাজাবাসী ভবিষ্যৎ স্বশাসন নিয়ে আশাবাদী হতে পারলেই কেবল শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প কয়েকদিন আগেই বিধ্বস্তপ্রায় গাজা থেকে জর্ডান ও মিশরের আরও ফিলিস্তিনি নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন। জর্ডানের বাদশাহকে তিনি গাজার ফিলিস্তিনিদেরকে আশ্রয় দেওয়ার অনুরোধও জানান।
জর্ডানে ইতোমধ্যেই কয়েক লাখ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আছে। মিশরে আছে আরও শতসহস্র ফিলিস্তিনি শরণার্থী। ট্রাম্পের গাজাবাসীদের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা শোনার পরই তা তৎক্ষণাৎ খারিজ করেছে দুই দেশই। ওদিকে, ফিলিস্তিনিরা নিজেদের ভবিষ্যৎ স্বাধীন রাষ্ট্রে গাজাকে রাখতে চায়।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহকারী প্রধান দেশগুলোর তালিকায় আছে জার্মানি। ২০২৩ সালে গাজায় ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রপ্তারি প্রায় দশগুণ বাড়িয়েছে বার্লিন।