চলতি বছরের শেষ দিকে পাকিস্তানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
Published : 03 Aug 2023, 09:47 PM
সামরিক বাহিনী নির্বাচনকে ভয় পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান।
‘বিবিসি হার্ডটক’ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। চলতি বছরের শেষ দিকে পাকিস্তানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে ইমরান পাকিস্তানের বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ‘ফ্যাসিবাদীরা’ পাকিস্তানকে অন্ধকার যুগে নিয়ে যাচ্ছে।
ইমরান খান ২০১৮ সালে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু ক্ষমতার মেয়াদ শেষ করতে পারেননি। গত বছর পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন। দেশ শাসন করতে পেরেছিলেন প্রায় চার বছর।
পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, ইমরানের ক্ষমতাচ্যুতির একটি বড় কারণ হচ্ছে, শক্তিশালী সামরিক বাহিনী তার অনুকূলে না থাকা। পাকিস্তান মূলত, কয়েক দশক ধরে পরিচালিত হচ্ছে সামরিক বাহিনীর নির্দেশিত পথে।
বিবিসি হার্ডটকে ইমরান বলেন, তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) একমাত্র দল যারা সামরিক স্বৈরশাসকদের হাতে তৈরি হয়নি। এ কারণেই দলটিকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তবে অনেক সমালোচকই যুক্তি দেখিয়েছেন যে, ক্ষমতায় ইমরান খানের উত্থানের পেছনে সামরিক বাহিনীর সমর্থন ছিল।
গত কয়েক মাসে ইমরানের দলের বেশ কয়েকজন নেতা দলত্যাগ করেছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন সদস্য গ্রেফতার হয়েছেন। তবে ইমরানের দাবি, তার দল এখনও অটুট আছে।
বিবিসি-র স্টিফেন স্যাকুরকে দেওয়া সাক্ষাতকারে ইমরান বলেন, “এসট্যাবলিশমেন্ট প্রকাশ্যে আমাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দলকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তারপরও কেমন করে আমরা সরকার থেকে বেরিয়ে এসেও ৩৭টি উপনির্বাচনের মধ্যে ৩০টিতে জয়ী হলাম?”
তিনি বলেন, এসট্যাবলিশমেন্ট ধারণা করেছিল যে, তার ক্ষমতাচ্যুতি পিটিআই-কে দুর্বল করবে। কিন্তু তা না হয়ে উল্টো বরং দলের জনপ্রিয়তা আরও বাড়ছে।
ইমরান খানের সমর্থকরা মনে করে, তিনি দুর্নীতিমুক্ত একজন নেতা। তার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার জন্য সেনাবাহিনীই কলকাঠি নেড়েছে বলে বলে মনে করে তারা। তবে সেনাবাহিনী এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
ক্ষমতা ছাড়ার পর থেকেই একের পর এক আইনি প্যাঁচে পড়ছেন ইমরান খান। তার দল বলছে, ইমরানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, সন্ত্রাসবাদ এবং হত্যাকাণ্ডে প্ররোচণা দেওয়াসহ প্রায় ২০০টি মামলা রয়েছে।
তবে পাকিস্তানে ইমরান কতটা জনপ্রিয় তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল গত মে মাসে। সেসময় তাকে আদালতের ভেতর থেকে গ্রেপ্তার করা হলে দেশজুড়ে নজিরবিহীন বিক্ষোভ হয়েছিল।