ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরের উত্তরাংশের এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
Published : 03 Dec 2024, 04:45 PM
ফিলিস্তিনের ছিটমহল গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় মঙ্গলবার অন্তত ১২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের অধিকাংশই নিহত হয়েছেন গাজার উত্তর প্রান্তের বেইত লাহিয়া শহরে। এর মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনী গাজার দক্ষিণাঞ্চলে এলাকা ছাড়ার নতুন আদেশ ঘোষণা করেছে।
গাজার চিকিৎসা কর্মীরা জানিয়েছেন, বেইত লাহিয়ায় ইসরায়েলি বাহিনীর ধারাবাহিক হামলায় আটজন নিহত হন। অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজার যে দু’টি শহরে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বেইত লাহিয়া তার একটি। অপর চারজন নিহত হয়েছেন গাজা সিটির বিভিন্ন এলাকায়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরের উত্তরাংশের এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ওই এলাকা থেকে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা রকেট ছুড়েছে বলে অভিযোগ তাদের। এই আদেশ পাওয়ার পরপর ভোরের আগেই বাসিন্দাদের এলাকা ছাড়ার ঢল নামে, তাদের অধিকাংশই পশ্চিমমুখে রওনা হয়েছেন বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
সামাজিক মাধ্যম এক্স এ দেওয়া এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, “আপনাদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্যই অবিলম্বে এলাকাটি ছাড়তে হবে এবং মানবিক জোনে চলে যেতে হবে।”
ফিলিস্তিনি ও জাতিসংঘ কর্মকর্তারা বলেছেন, ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে কোনো নিরাপদ এলাকা নেই। গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার অধিকাংশই অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু। এদের কিছু অংশ গত বছর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ১০ বারের মতো বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বাধীন যোদ্ধারা ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের বসতিগুলোতে নজিরবিহীন হামলায় চালিয়ে অন্তত ১২০০ জনকে হত্যা ও ২৫০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি করে বলে ভাষ্য ইসরায়েলের। এর প্রতিশোধ নিতে ওই দিন থেকেই ঘনবসতিপূর্ণ গাজায় ভয়াবহ আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল।
তারপর থেকে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ৪৪ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক লাখেরও বেশি মানুষ। আর ইসরায়েলি বাহিনীর অবিরাম হামলায় গাজা প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।