তিন বছরেরও বেশি সময় পর হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থিদের বিরুদ্ধে চলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিচারের রায় এল।
Published : 30 May 2024, 10:42 AM
হংকংয়ের জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে আনা বিদ্রোহের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গণতন্ত্রপন্থি ১৪ আন্দোলনকারী দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার হংকং হাইকোর্টের দেওয়া এ রায়ে আরও দুই আন্দোলনকারী খালাস পেয়েছেন।
বিবাদীদের বিরুদ্ধে হংকং সরকারকে পঙ্গু করে দেওয়ায় ‘ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র’ ও ২০২০ সালের জুলাইয়ে নগরব্যাপী নির্বাচনে এক অনানুষ্ঠানিক আগাম-বাছাইয়ের মাধ্যমে নগরীর নেতাকে পদত্যাগে বাধ্য করার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছিল।
গণতন্ত্রপন্থিদের দাবি, হংকংয়ের আইনসভায় ঐতিহাসিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে শক্তিশালী প্রার্থী বাছাই করার একটি অনানুষ্ঠানিক প্রচেষ্টা ছিল সেটি।
২০১৯ সালে বেইজিং হংকংয়ের জন্য কঠোর নিরাপত্তা আইন করার পরিকল্পনা নিলে গণতন্ত্রপন্থিরা নগরীটিজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু করে। তাদের অভিযোগ ছিল, ১৯৯৭ সালে ব্রিটেন হংকংকে চীনের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার সময় যে স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছিল এই আইন তার লঙ্ঘন।
এরপর কয়েকদিন ধরে ভোররাতে চালানো কয়েকটি অভিযানে পুলিশ ৪৭ জন গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করে। এদের অধিকাংশকেই ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আটক করা হয়। তারপর থেকে আদালতে ধারাবাহিক জামিনের শুনানি শুরু হয়।
তিন বছরেরও বেশি সময় পর বৃহস্পতিবার হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থিদের বিরুদ্ধে চলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিচারের রায় এল। এতে দোষী সাব্যস্ত ১৪ জনের সাজা পরবর্তী কোনো এক দিন ঘোষণা করা হবে। রায়ে জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক অপরাধে তাদের তিন বছর থেকে যাবজ্জীবন পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
বিচার চলাকালে ৩১ জন দোষ স্বীকার করেন এবং তাদের মধ্যে চারজন রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী হন।
রায় ঘোষণার আগে হংকং হাইকোর্টের আশপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। রায় ঘোষণার সময় আদালতে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ইউরোপের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য কিছু দেশ এই বিচারের সমালোচনা করে একে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে অভিহিত করার পাশাপাশি অভিযুক্তদের আশু মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে।
এই রায় হংকং নগরীর আইনের শাসন ও বৈশ্বিক আর্থিক কেন্দ্র হিসেবে এর সুনাম ক্ষুন্ন করতে পারে বলে ধারণা সমালোচকদের।