২০৩৫ সাল নাগাদ নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন তৈরির ঘোষণা দিয়েছে ভারত। আর এর পরবর্তী পাঁচ বছরের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠানোর লক্ষ্যস্থির করেছে দেশটি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় নিজস্ব মহাকাশ প্রকল্পের কার্যক্রম বাড়িয়েছে ভারত। এমনকি অগাস্টে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সফলভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের মাইলফলক অর্জন করেছে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম দেশটি।
এর পরপরই সেপ্টেম্বরে সূর্য গবেষণার জন্য নভোযান পাঠিয়েছে ভারত। তবে, যাত্রীবাহী মহাকাশ অভিযান একেবারে নতুন বিষয়। সেই লক্ষ্যে নিজস্ব সক্ষমতা ব্যবহার করে আসন্ন ‘গগনযান’ মিশনে প্রথমবারের মতো মহাকাশে নভোচারী পাঠাতে যাচ্ছে দেশটি। তবে, এটি এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে আছে।
চন্দ্রাভিযান পরিচালনার আগে ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন এক বৈঠকে ২০২৫ সাল নাগাদ মহাকাশে নিজেদের প্রথম যাত্রীবাহী মিশনের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।
২১ অক্টোবর ‘ক্রু এস্কেপ সিস্টেম টেস্ট ভেহিকল’ নামের পরীক্ষামূলক মহাকাশযানে একটি যাত্রীবিহীন ফ্লাইট পরিচালনা করছে ভারত। পরবর্তীতে এমন আরও তিনটি যাত্রীবিহীন ফ্লাইট পরিচালনা করবে দেশটি। মহাকাশে মানুষ পাঠানোর আগে ভারতের এমন অন্তত ২০টি পরীক্ষা পরিকল্পনার কথা প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।
ভারতের দাবি, নিজেদের সম্ভাব্য ‘উচ্চাভিলাষী’ লক্ষ্যে পৌঁছাতে নতুন লঞ্চ প্যাডের পাশাপাশি তারা পরবর্তী প্রজন্মের মহাকাশযানও তৈরি করছে।
২০৩৫ সাল নাগাদ ‘ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন’ নামে নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন তৈরি ও ২০৪০ নাগাদ চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করার পাশাপাশি আন্তঃগ্রহ মিশন পরিচালনার কথাও বিবেচনায় রেখেছে ভারত। এ ছাড়া, শুক্র গ্রহের জন্য ‘অরবিটার’ এবং মঙ্গল গ্রহে অবতরণের জন্য মহাকাশযান তৈরির ইচ্ছার কথাও জানিয়েছেন মোদী।