সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকের ‘বুকটক’ নামের অ্যাপের মতো মাধ্যমগুলো সামাজিক মাধ্যমে তরুণদের বই পড়ার প্রবণতা বাড়াতে ‘অতি ইতিবাচক’ ভূমিকা রাখছে।
Published : 14 Feb 2024, 04:10 PM
বর্তমানে তরুণদের বই পড়ার প্রতি জোরালো উৎসাহ দিচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, এমনই দাবি ইউরোপের বই বিক্রেতা শীর্ষ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের।
ইউরোপজুড়ে তিন শতাধিক বইয়ের দোকান রয়েছে ওয়াটারস্টোনসের। এর সাফল্যের রূপকার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেমস ডন্ট বলেছেন, সামাজিক মাধ্যম তরুণদের মধ্যে ‘সঠিক বই পড়ার’ আগ্রহ বাড়াচ্ছে।
সুপরিচিত বই প্রকাশক ‘বার্নস অ্যান্ড নোবল’-এর এক সময় প্রধান নির্বাহী ছিলেন ডন্ট। এরপর বই বিক্রেতা চেইন ওয়াটারস্টোনসের মালিকানা বদল হলে তার হাতে কোম্পানিটিকে ছেড়ে দেয় এর নতুন মালিক। এক দশকে কোম্পানিটিকে ইউরোপের শীর্ষ বই বিক্রেতা করে তোলেন তিনি।
ডন্ট বলছেন, টিকটকের ‘বুকটক’ অ্যাপের মতো সুবিধাগুলো তরুণদের বই পড়ার প্রবণতা বাড়াতে ‘খুবই ইতিবাচক’ ভূমিকা রাখছে।
মঙ্গলবার ইংলিশ কাউন্টি উইন্ডসরের রাজ প্রাসাদ ‘উইন্ডসর ক্যাসল’-এ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ডন্ট বলেন, “সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন নতুন উদ্ভাবন ও পরিবর্তন বই পড়ার আগ্রহ বাড়িয়ে দিচ্ছে। পাশাপাশি, ব্যবহারিক জীবনেও এর প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে।”
“আর সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এতে ভূমিকা রাখলেও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে টিকটকের ‘বুকটক’ অ্যাপটি।”
“এমনকি অডিওবুক থেকেও বিভিন্ন বই শুনছেন তরুণরা, যা তাদের পড়ার আগ্রহ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।”
‘ডন্ট বুকস’-এর প্রতিষ্ঠাতা বলেছেন, এক দশক আগে বড় পরিসরে বই বিক্রির ব্যবসা শক্ত অবস্থানে ছিল। তবে অ্যামাজন ও ইবুকের উত্থানের কারণে এটা হুমকির মুখে পড়ে।
জেমস ডন্ট ২০১১ সালের মে মাসে ‘ওয়াটারস্টোনস’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হন। তিনি বলেন, “২০১৩ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ‘ই-বুকের উত্থান ও বাস্তবিক অর্থে বইয়ের মৃত্যু’ নিয়ে আলোচনা করছিলেন সবাই। তবে এরপর থেকে দেখা গেছে, তরুণরা ‘সঠিক বইটিই’ পড়ছেন, যা তার ভাষায় “আসলেই চমৎকার বিষয়”।
গত দশকে ‘ওয়াটারস্টোনস’-এর আবার নতুন করে শুরু করার চাবিকাঠি কী ছিল, তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “তেমন কিছুই না, খুব কম কাজই করেছি। তবে, মূল বিষয়টি হল, আপনি সকল বইয়ের দোকানকে নিজস্ব বুঝমতো এগোতে দিন।”
এদিকে, রাজপরিবারের প্রিন্সেস রয়্যালের সঙ্গে বিনিয়োগ অনুষ্ঠানে দেখা করাও ‘অসাধারণ’ ছিল বলেও উল্লেখ করেন ডন্ট।
“রাজপরিবারে শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা বেশি ছিল। আর বই পড়ার বড় পৃষ্ঠপোষকও ছিল পরিবারটি। তাই যে কেউ এখানে আসতে পেরে সম্মানিত বোধ করবে।”