সামাজিক মাধ্যম জায়ান্ট কোম্পানিটি ইঙ্গিত দিয়েছে, ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি বিভিন্ন মোবাইল ডিভাইসের মূল কম্পিউটিং প্ল্যাটফর্মের জায়গা নিতে পারে।
Published : 10 May 2023, 03:28 PM
২০৩৫ সাল নাগাদ মেটাভার্স মার্কিন জিডিপি'র দুই দশমিক চার শতাংশ অর্থাৎ ৭৬ হাজার কোটি ডলার পর্যন্ত অবদান রাখতে পারে। এমনই দাবি করছে ফেইসবুকের মালিক কোম্পানি মেটার এক গবেষণা।
মেটাভার্সের ধারণার মধ্যে রয়েছে অগমেন্টেড ও ভার্চুয়াল রিয়ালিটি প্রযুক্তি, যা ব্যবহারকারীদের একটি ভার্চুয়াল জগতে প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি বাস্তব বিশ্বের বিভিন্ন ছবিতে ডিজিটাল উপায়ে তথ্য যোগ করার সুবিধা দেয় বলে উঠে এসেছে পরামর্শক সংস্থা ডেলয়েটের প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদন অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা, চিকিৎসা ও উৎপাদন খাতে এই প্রযুক্তির ব্যবহারের পাশাপাশি ভিডিও গেইমিং ও যোগাযোগের মতো বিনোদন খাত থেকেও এটি অর্থনৈতিক লাভ আনতে পারে।
২০২১ সাল থেকে মেটাভার্স প্রযুক্তিতে মনোযোগ দেওয়া সামাজিক জায়ান্ট কোম্পানিটি ইঙ্গিত দিয়েছে, ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি বিভিন্ন মোবাইল ডিভাইসকে মূল কম্পিউটিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে জায়গা করে দিতে পারে।
মেটাভার্স প্রকল্পে মেটার বিশাল বিনিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিনিয়োগকারীরা, যেখানে বিজ্ঞাপনী খাতে মন্দা চলাকালীন কোম্পানির আয় বৃদ্ধিতে চলমান চাপের সময় তারা এই খাতের আর্থিক লভ্যাংশ ফেরত আসা নিয়ে সন্দিহান বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
ভিন্ন এক প্রতিবেদনে মেটা বলেছে, ২০৩৫ সাল নাগাদ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বার্ষিক জিডিপি’তেও প্রায় ১.৩-২.৪ শতাংশ বা ৫৩ হাজার আটশ ২৯ কোটি ডলার পর্যন্ত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে।
ডেলয়েট বলেছে, ২০৩৫ সাল নাগাদ মেটাভার্স কানাডার বার্ষিক জিডিপি’তে তিন হাজার তিনশ ৮৮ কোটি ডলার থেকে আট হাজার পাঁচশ ৫০ কোটি ডলার পর্যন্ত অবদান রাখতে পারে।
এইসব দেশ ভিত্তিক অনুমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রভাব সংশ্লিষ্ট এক প্রতিবেদন থেকে এসেছে। এর জন্য গত বছর পরামর্শক সংস্থা ‘অ্যানালাইসিস গ্রুপকে নিয়োগ দিয়েছিল মেটা। সংস্থাটির অনুমান বলছে, মেটাভার্স সক্ষমতা যোগ করা গেলে তা ২০৩১ সাল নাগাদ তিন লাখ কোটি ডলারের বেশি পর্যন্ত অবদান রাখবে।