গাইবান্ধা থেকে গত বুধবার মেহরাজকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
Published : 25 Apr 2025, 04:40 PM
প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মেহরাজ ইসলামের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুবের আদালত রিমান্ডের আদেশ দেয়।
আদালতে বনানী থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই মোক্তার হোসেন রিমান্ডের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিন মেহরাজকে আদালতে তুলে ১০ দিনের রিমান্ড চান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক এ কে এম মঈন উদ্দিন।
মেহরাজের পক্ষে তার আইনজীবী এম এ মালেক তালুকদার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
শুনানিতে তিনি বলেন, “এ ঘটনায় কয়েকজন আসামি রিমান্ডে আছেন। দুজন আসামি আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়ে জানিয়েছেন, এ ঘটনা কারা ঘটিয়েছে। মেহরাজ হত্যাকাণ্ডের সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন না।
“ঘটনার ভিডিও ফুটেজেও তাকে দেখা যায়নি। অন্যান্য আসামি তার বন্ধু হওয়ায় তাকে অনুমানের ভিত্তিতে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হলে জেলগেইটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিতে পারেন।”
শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
শুনানিকালে আদালতে কান্নাকাটি করেন মেহরাজ। তবে কোনো কথা বলেননি। আদালতে ওঠানো ও নামানোর সময়ও তাকে কাঁদতে দেখা যায়।
এজাহারে আসামির তালিকায় মেহরাজের নাম ১ নম্বরে রয়েছে। গত বুধবার রাতে গাইবান্ধায় র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি।
এর আগে এ মামলায় মাহাথির হাসান ও আল কামাল শেখ আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন।
আলভী হোসান জুনায়েদ, আল আমিন সানি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম সদস্য সচিব হৃদয় মিয়াজী আছেন রিমান্ডে।
গত ১৯ এপ্রিল বিকালে ছুরিকাঘাতে খুন হন প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী পারভেজ। ২৪ বছর বয়সী পারভেজের বাড়ি ময়মনসিংহের ভালুকায়।
ঘটনার পরের দিন বনানী থানায় মামলা করেন নিহতের মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর।
মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দুই নেতাসহ আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া নাম না দিয়ে আসামি করা হয় আরও ২৫-৩০ জনকে।
এজাহারে বলা হয়েছে, “মেহরাজ ইসলাম তার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে পারভেজের মৃত্যু নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে তার বুকের বাম পাশে সজোরে আঘাত করেন।”
ঘটনার পরের দিন এক সংবাদ সম্মেলনে পারভেজকে নিজেদের কর্মী দাবি করে ছাত্রদল। তারা এ হত্যাকাণ্ডের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানীর কয়েক নেতার জড়িত থাকার অভিযোগ তোলে।
তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিজেদের ফেইসবুক পেইজে ছাত্রদলের এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলে, এই ঘটনায় তাদের নেতারা জড়িত নন; ছাত্রদল মিথ্যাচার করছে।