বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম কীভাবে ‘এজ ভেরিফিকেশন’ বা বয়স যাচাইকরণ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ও ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুর তথ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে মা-বাবার সম্মতি নেয়, সে বিষয়গুলোও পরীক্ষা করে দেখার কথা জানিয়েছে আইসিও।
Published : 04 Apr 2024, 05:58 PM
অনলাইনে শিশুদের প্রাইভেসি সুরক্ষায় বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ভিডিও-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মকে আরও কাজ করার আহ্ববান জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের ডেটা সুরক্ষাবিষয়ক নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এই বিষয়টিকে আগামী বছরের অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করছে যুক্তরাজ্যের ‘ইনফরমেশন কমিশনার অফিস (আইসিও)’, যেখানে মূল মনযোগ লোকেশনের তথ্য, শিশুদের উদ্দেশ্য করে তৈরি বিজ্ঞাপন, রেকমেন্ডেশন অ্যালগরিদম ও ১৩ বছরের কম বয়সীদের তথ্য ব্যবহারের মতো বিষয়গুলোতে।
ইনফরমেশন কমিশনার জন এডওয়ার্ডস বলেছেন, ২০২১ সালে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য শিশুদের তথ্য সুরক্ষিত রাখার ‘কোড অফ প্র্যাক্টিস’ চালু হওয়ার পর এ বিষয়ে অগ্রগতি লক্ষ্য করা গেলেও আগামী বছরের জন্য নির্ধারিত বিভিন্ন অগ্রগতি নিয়ে এখনও কাজ বাকি।
“লাভের কথা বিবেচনায় রেখে শিশুদের প্রাইভেসি নিয়ে ব্যবসা করা উচিৎ নয়। তাই বিভিন্ন কোম্পানি কীভাবে নিজেদের অনলাইন পরিষেবাগুলো সাজায় ও শিশুদের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করে, তার বড় প্রভাব রয়েছে তরুণরা ডিজিটাল জগতে, যা দেখে ও অনুভব করে তার ওপর,” বলেন এডওয়ার্ডস।
“দশ জনের মধ্যে সাতজন শিশুই আমাদের বলেছেন, ইন্টারনেটকে আগের চেয়ে উন্নত ও নিরাপদ করার ক্ষেত্রে তাদের আমাদের কোডের ওপর ভরসা আছে। তাই অনলাইন পরিষেবাগুলো শিশুদের জন্য প্রাইভেসি-বান্ধব কি না, তা নিশ্চিত করার বেলায় আমাদের সংকল্পটি আগের চেয়েও দৃঢ়।”
এ ছাড়া, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মে শিশুদের সম্ভাব্য ঝুঁকি মূল্যায়নে কোম্পানিগুলোকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এডওয়ার্ডস।
আগামী বছরের শিশু সুরক্ষা কোড পরিকল্পনার অংশ হিসাবে আইসিও বলেছে, তারা বিভিন্ন অনলাইন পরিষেবায় শিশুদের প্রোফাইল ডিফল্ট হিসেবেই প্রাইভেট করার ওপর মনযোগ দেবে। এ ছাড়া, ‘জিওলোকেশন’ বা ভৌগলিক অবস্থানের সেটিংও ডিফল্ট হিসাবে বন্ধ করা হবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইনডিপেন্ডেন্ট।
সংস্থাটি আরও বলেছে, ‘টার্গেটেড অ্যাডভারটাইজিং’ বা নির্দিষ্টভাবে শিশুদের লক্ষ্য করে প্রচার করা বিজ্ঞাপন ডিফল্ট হিসেবে বন্ধ করতে তারা বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মকে অনুরোধ জানাবে।
এ ছাড়া, কম বয়সী ব্যবহারকারীর জন্য অ্যালগরিদমের ব্যবহার যাচাই করতে বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার কথাও জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম কীভাবে ‘এজ ভেরিফিকেশন’ বা বয়স যাচাইকরণ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ও ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুর তথ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে মা-বাবার সম্মতি নেয়, সে বিষয়গুলোও পরীক্ষা করে দেখার কথা জানিয়েছে আইসিও।
আইসিও’র ঘোষণাটি এমন সময় এল, যখন ওয়াশিংটনে আয়োজিত ‘আইএপিপি গ্লোবাল প্রাইভেসি সামিট’ যোগ দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের ইনফরমেশন কমিশনার।
“শিশুদের প্রাইভেসি একটি বৈশ্বিক শঙ্কার বিষয়। তাই গোটা বিশ্বের বিভিন্ন ব্যবসাকেই শিশুদের ব্যক্তিগত তথ্য যথাযথভাবে ব্যবহার করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে যাতে তারা অনলাইনে ক্ষতির মুখে না পড়ে,” বলেন এডওয়ার্ডস।