সাইবার নিরাপত্তা কোম্পানি ‘নর্ডভিপিএন’ চ্যাটজিপিটির ফাঁস হওয়া তথ্যকে ব্যাখ্যা করেছে ‘ডার্ক ওয়েবের সবচেয়ে চমকপ্রদ আলোচনার বিষয়’ হিসেবে, যেখানে সাইবার অপরাধীরা এ প্রযুক্তিকে ‘অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করতে চায়।
Published : 21 Jul 2023, 03:29 PM
চ্যাটজিপিটি থেকে চুরি করা লাখ লাখ অ্যাকাউন্ট ডার্ক ওয়েবে বিক্রির জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, যা নিয়ে সতর্ক করেছেন নিরাপত্তা গবেষকরা।
সাইবার নিরাপত্তা কোম্পানি ‘ফ্লেয়ার’ এর অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ওপেনএআইয়ের তৈরি জনপ্রিয় চ্যাটবটের দুই লাখের বেশি লগইন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে ডার্ক ওয়েবে। এটি ইন্টারনেটের এমন এক জায়গা, যেখানে প্রচলিত ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে প্রবেশ করা যায় না।
ব্রিটিশ সংবাদপত্র ইনডিপেন্ডেন্ট লিখেছে, চুরি যাওয়া ওই লগইন তথ্য হাতে পেলে অপরাধীরা বিনামূল্যে চ্যাটজিপিটির প্রিমিয়াম সংস্করণ ব্যবহারের সুযোগ পাবে।
ওপেনএআই এর আগেও নিজেদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সাফাই গেয়েছে। অনলাইনে ব্যবহারকারীদের কিছু লগইন সংশ্লিষ্ট তথ্য ফাঁস হওয়ার পর গত মাসে কোম্পানির এক মুখপাত্র বলেছিলেন, চ্যাটজিপিটি সেবায় ব্যবহারকারীর লগইনের ক্ষেত্রে সেরা পদ্ধতিগুলোই ব্যবহার করে ওপেনএআই।
“আমরা ব্যবহারকারীকে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহারের পাশাপাশি ব্যক্তিগত কম্পিউটারে ভেরিফাই করা বিশ্বাসযোগ্য সফটওয়্যার ব্যবহারের পরামর্শ দিই।”
অপরাধ বিষয়ক বিভিন্ন ফোরামে চ্যাটজিপিটির মত চ্যাটবট নিয়ে যখন তুমুল আগ্রহ চলছে, তখনই ডার্ক ওয়েবে ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস হওয়ার খবর এল।
মার্চে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা যায়, এ বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ডার্ক ওয়েবে চ্যাটজিপিটি সংশ্লিষ্ট নতুন পোস্টের মাত্রা বেড়েছে সাত গুণ।
সাইবার নিরাপত্তা কোম্পানি ‘নর্ডভিপিএন’ চ্যাটজিপিটির ফাঁস হওয়া তথ্যকে ব্যাখ্যা করেছে ‘ডার্ক ওয়েবের সবচেয়ে চমকপ্রদ আলোচনার বিষয়’ হিসেবে, যেখানে সাইবার অপরাধীরা এই প্রযুক্তিকে ‘অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করতে চায়।
ডার্ক ওয়েবে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে কীভাবে চ্যাটজিপিটি’র মাধ্যমে ম্যালওয়্যার বানানো যায়। আর বিভিন্ন সাইবার আক্রমণ চালানোর উদ্দেশ্যে কীভাবে এই এআই টুলকে হ্যাক করা যায়।
এ মাসের শুরুতে ‘ওয়ার্মজিপিটি’ নামে পরিচিত একটি এআই টুল চিহ্নিত করেছেন গবেষকরা, যা দেখতে অনেকটা চ্যাটজিপিটির মতই। তবে এতে কোনো নৈতিক সীমাবদ্ধতা নেই।
আরও খবর:
ডার্ক ওয়েবে ‘চ্যাটজিপিটির কপি’, বালাই নেই নৈতিকতার
নতুন এই চ্যাটবটকে ব্যাখ্যা করা হয় চ্যাটজিপিটি’র ‘শয়তান জমজ ভাই’ হিসেবে। এর মাধ্যমে এমন সাইবার আক্রমণ চালানোর ঝুঁকি রয়েছে, যা এর আগে কখনো দেখা যায়নি।
সাইবার নিরাপত্তা কোম্পানি ‘এসেট’-এর পরামর্শক জেক মুর ইনডিপেনডেন্টকে বলেন, “চ্যাটবটের ক্ষতিকর ব্যবহার সীমিত করার লক্ষ্যে ব্যবস্থা নিয়েছে চ্যাটজিপিটি। তবে কোনো প্রতিযোগী প্ল্যাটফর্ম শিগগিরেই অসৎ উদ্দেশ্যে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করবে, সেটা অনিবার্য।”