বিভিন্ন প্রযুক্তিগত প্রক্রিয়ার গতি দ্রুত বা ধীর হচ্ছে কি না, সেটি পরীক্ষার চেষ্টা করেছেন বিজ্ঞানীরা। এজন্য তারা সাড়ে চার কোটি গবেষণা ও ৩৯ লাখ পেটেন্ট পরীক্ষা করেছেন।
Published : 05 Jan 2023, 03:53 PM
বিশ্বে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের গতি এবং সাড়া ফেলার ঘটনা অনেক কমে গেছে বলে উঠে এসেছে এক গবেষণায়।
পাশাপাশি গবেষকরা বলছেন, নতুন বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানের বিশাল অংশ, সম্ভবত, নতুন কোনো অনুসন্ধান বা উদ্ভাবনে অবদান রাখছে না।
বিভিন্ন প্রযুক্তিগত প্রক্রিয়ার গতি দ্রুত বা ধীর হচ্ছে কি না, সেটি পরীক্ষার চেষ্টা করেছেন বিজ্ঞানীরা। এর জন্য তারা বিগত ছয়টি দশক থেকে নেওয়া সাড়ে চার কোটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা পত্র ও ৩৯ লাখ পেটেন্ট পরীক্ষা করে দেখেছেন।
‘সিডি ইন্ডেক্স’ নামে পরিচিত এক টুল ব্যবহার করে তারা এইসব তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক বিভিন্ন উদ্ধৃতিতে কাগজপত্র ও পেটেন্টের প্রভাব পরিমাপ করে এটি।
আর ওইসব কাগজপত্র ও পেটেন্টে এটি একটি “ডিসরাপটিভনেস স্কোর” দিতে পারে। ফলে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে একটি গবেষণা পত্র কতটা সাড়া ফেলেছে, তা সহজেই বলা যায়।
পরীক্ষায় গবেষকরা দুটি ভিন্ন ধরনের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতিকে বিবেচনায় নিয়েছেন বলে উঠে এসেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদনে। এর একটি হলো, যেগুলো প্রচলিত জ্ঞানের সঙ্গে নতুন তথ্য ও জ্ঞান যোগ করে ও মানুষের বোঝাপড়াকে এগিয়ে নেয়। আরেকটি হলো, যেগুলো সত্যিই প্রযুক্তি জগতকে এতোটাই নাড়া দেয় যে পুরোনো জ্ঞান কার্যত অচল হয়ে পড়ে।
অনুসন্ধান বলছে, বিভিন্ন নতুন গবেষণায় বড় ধরনের ঢেউ তোলার মতো উপাদান কমে যাচ্ছে; বরং বিদ্যমান পরিস্থিতির সঙ্গেই তাল মেলানো কাজ বেশি হচ্ছে। আর এটি সকল খাতেই ঘটছে, বিশেষ করে সামাজিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে।
কী কারণে এমন ঘটছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে লেখকরা বলছেন, বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবকরা নিজেদের বিভিন্ন নতুন অনুসন্ধানের জন্য ক্রমাগতই সংকীর্ণ পথ মাড়াচ্ছেন।
“একটি সুস্থ বৈজ্ঞানিক ইকোসিস্টেম হলো এমন এক জায়গা, যেখানে সাড়া ফেলা বিভিন্ন অনুসন্ধান ও প্রতিষ্ঠিত বিষয়ের উন্নয়ন উভয়ের সহাবস্থান থাকবে। তবে, গবেষণার ধরন বদলে যাচ্ছে।” --বলেন ‘ইউনিভার্সিটি অফ মিনেসোটার’ গবেষক ও গবেষণা পত্রটির মূল লেখক রাসেল ফাংক।
“বিভিন্ন ক্রমবর্ধমান উদ্ভাবন আরও সাধারণ হয়ে ওঠার পরপরই, বিজ্ঞানকে নাটকীয়ভাবে এগিয়ে নেওয়া বিভিন্ন মূল অগ্রগতি বাস্তবায়নে তুলনামূলক বেশি সময় লাগতে পারে।”
এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে গবেষণা জার্নাল নেচারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন গবেষণা পত্র ও পেটেন্ট তুলনামূলক কম সাড়া ফেলছে বলে উঠে এসেছে সে প্রতিবেদনে।