নারীদের এআই স্টার্টআপে যথেষ্ট অর্থায়ন হচ্ছে না

“এআই খাত বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে এতে প্রচুর বিনিয়োগও হচ্ছে। তবে, বিনিয়োগ করা মূলধনের প্রায় পুরোটাই যাচ্ছে পুরুষদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়।”

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 March 2024, 11:38 AM
Updated : 19 March 2024, 11:38 AM

এআই শিল্পে বড় বিনিয়োগের হিড়িক দেখা গেলেও এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে নারী নেতৃত্বাধীন বিভিন্ন এআই স্টার্টআপ।

মঙ্গলবার ‍যুক্তরাজ্যের ‘দ্য অ্যালান টিউরিং ইনস্টিটিউট (এআইউকে)’-এর প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে দেখা দেখা গেছে, ২০১০ সাল থেকে এআই সফটওয়্যার খাতে যৌথ বিনিয়োগের মাত্র ০.৭ শতাংশ এসেছে নারী-নেতৃত্বাধীন স্টার্টআপগুলোয়।

প্রতিবেদনে আরও একটি বিষয় উঠে এসেছে– এআই খাতে মাত্র চার শতাংশ স্টার্টআপে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নারীরা। অন্যদিকে, এ খাতের ৭৮ শতাংশ স্টার্টআপ কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা দলের সদস্যরা পুরুষ, যেখানে তাদের বিনিয়োগ করা অর্থের প্রায় ৭৭ শতাংশই উঠে এসেছে।

এ প্রতিবেদনের প্রধান লেখক প্রফেসর জুডি ওয়াজকম্যান বলেছেন, এআই খাতে বৈচিত্র্যের অভাব ‘নারী ও অর্থনীতি উভয়কেই খাটো করছে’।

এ প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়, উদীয়মান এ খাতে নারী-পুরুষের ব্যবধান কমিয়ে আনতে বিনিয়োগকারীরা যেন এআই শিল্পে কাজ করা নারীদের ও পিছিয়ে পড়া উদ্যোক্তাদের ওপর বিনিয়োগ করেন। আর এ শিল্পের লিঙ্গ বৈচিত্র্য সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহ ও তা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের আহ্বানও জানানো হয় বিনিয়োগকারীদের।

‘অ্যালান টিউরিং ইনস্টিটিউট’ আয়োজিত ‘ডেটা সায়েন্স ও এআই’ সংশ্লিষ্ট দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের সঙ্গে মিল রেখে প্রকাশ করা হয় গবেষণাটি।

বৈশ্বিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এক উদীয়মান প্রযুক্তিতে পরিণত হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি, যার নেতৃত্বে উত্থান ঘটেছে ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি এবং গুগলের জেমিনাই চ্যাটবটের মতো জেনারেটিভ এআই প্রোগ্রামের।

প্রতিবেদনটির লেখক ও ‘অ্যালান টিউরিং ইনস্টিটিউটে’র গবেষণা ফেলো ড. এরিন ইয়ং বলেছেন, “আমরা উদ্বিগ্ন যে, নারী-নেতৃত্বাধীন স্টার্টআপগুলোকে পিছিয়ে রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি, এটি উচ্চ বিনিয়োগ ও এআই সফটওয়্যারের মতো বড় খাতে এত কম লিঙ্গ বৈচিত্র্য বিশেষভাবে উদ্বেগজনক।”

“এআই খাত বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে এতে প্রচুর বিনিয়োগও হচ্ছে। তবে, বিনিয়োগ করা মূলধনের প্রায় পুরোটাই যাচ্ছে পুরুষদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়।”

“এ নীতি সংস্কার করে অবশ্যই এআই খাতে নারীদের অন্তর্ভুক্তির প্রতি নজর দিতে হবে। পাশাপাশি, এ খাতে পিছিয়ে পড়া দলগুলোর ন্যায্যতা ও উদ্ভাবনের ওপরও নজর দেওয়া প্রয়োজন।”

‘ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক পলিসি প্রোগ্রাম’-এর পরিচালক প্রফেসর হেলের মারগেটস বলেছেন, “প্রযুক্তি খাতে, বিশেষ করে এআই শিল্পে, উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার প্রয়োজনীয় সুযোগ কমিয়ে দেয় লিঙ্গ বৈচিত্র্যের অভাব।”

“এই গুরুত্বপূর্ণ গবেষণায় দেখা গেছে, এ খাত নিয়ে এখনও অনেক কাজ করার আছে। তবে, একটি সুসংহত ও বহুমুখী অর্থনীতি থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আমাদের লিঙ্গ বৈচিত্র্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”