বিভিন্ন মেসেজিং সেবা ব্যবহারকারীকে ইন্টারনেট থেকে আসা বিভিন্ন সম্ভাব্য ‘স্প্যাম কল’ শনাক্তে শীঘ্রই হোয়াটসঅ্যাপ’সহ অন্যান্য মেসেজিং অ্যাপে নিজস্ব ‘কলার শনাক্তকরণ’ পরিষেবা বিস্তৃত করছে ট্রুকলার।
এখনও বেটা সংস্করণে থাকা ফিচারটিকে মে মাসের শেষ নাগাদ বৈশ্বিকভাবে চালু করার কথা জানিয়েছেন ট্রুকলারের প্রধান নির্বাহী অ্যালেন মামেডি।
কোম্পানির ২০২১ সালের প্রতিবেদন বলছে, ভারতের মতো দেশে টেলিমার্কেটিং ও জাল কলের প্রবণতা বেড়েছে। এসব অঞ্চলে প্রতি মাসে গড়ে ১৭টি জাল কল পেয়ে থাকেন ব্যবহারকারী।
এমন পরিস্থিতিতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘জিও’ ও ‘এয়ারটেলের’ মতো মোবাইল সেবাদাতা কোম্পানিকে নিজেদের নেটওয়ার্কে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ফিল্টার ব্যবহার করে বিভিন্ন টেলিমার্কেটিং কল ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
ট্রুকলার বলেছে, এই ধরনের সমাধান কার্যকর করতে এরইমধ্যে তারা বিভিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবাদাতার সঙ্গে আলোচনা করেছে।
“গত দুই সপ্তাহে আমরা ভারতের ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে হোয়াটসঅ্যাপ স্প্যাম কল সংশ্লিষ্ট অভিযোগ বাড়তে দেখেছি।” --টেলিমার্কেটারদের ইন্টারনেট কলিং ব্যবস্থায় প্রবেশকে ‘বাজারে মোটামুটি নতুন’ আখ্যা দিয়ে বলেন মামেডি।
ভারতে সর্বাধিক ব্যববহৃত মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হলো হোয়াটসঅ্যাপ। কোম্পানি বলছে, অস্বাভাবিক কার্যক্রমে জড়িত অ্যাকাউন্টগুলো শনাক্তে ও সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তারা ‘স্প্যাম ডিটেকশন’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে। আর এটি ব্যবহারকারীকে বিভিন্ন সন্দেহজনক অ্যাকাউন্ট ব্লক করার পাশাপাশি সেটি সম্পর্কে অভিযোগ জানানর সুযোগ দেয় বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।
ট্রুকলারের সবচেয়ে বড় বাজার হলো ভারত, যেখানে অ্যাপটি ব্যবহার করছেন ২৫ কোটির বেশি মানুষ। এ ছাড়া, গোটা বিশ্বে ৩৫ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে অ্যাপটির। আর কোম্পানির আর্থিক আয়ের উৎস হলো বিজ্ঞাপন খাত, গ্রাহক সেবা ও বিভিন্ন ব্যবসা থেকে আসা ভেরিফাই করা লিস্টিং।