অকালে মিশন শেষ হওয়ার খবর এমন সময় এসেছে যখন ওডিসিয়াসের ‘লেজার রেঞ্জ ফাইন্ডার’ কাজ না করার খবরও চাউর হয়েছে।
Published : 27 Feb 2024, 02:51 PM
মার্কিন মহাকাশ কোম্পানি ইনটিউটিভ মেশিনসের মুন ল্যান্ডার ওডিসিয়াসের সঙ্গে নির্ধারিত সময়ের পাঁচ দিন আগেই যোগাযোগ হারিয়ে ফেলতে পারে কোম্পানিটি।
মঙ্গলবার সকালের পর মহাকাশযানটির সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব নাও হতে পারে বলে সোমবার জানিয়েছেন কোম্পানির ফ্লাইট কন্ট্রোল ইঞ্জিয়াররা।
ওডিসিয়াসের মিশন ছোট হয়ে যাওয়ার ফলে কতটা বৈজ্ঞানিক তথ্য হারিয়ে যেতে পারে সেটিই এখন দেখার বিষয় বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স। এর আগে ইনটিউটিভ মেশিনস ও নাসার অনুমান অনুসারে, চাঁদে সাত থেকে দশ দিনের জন্য কাজ করার কথা ছিল মহাকাশযানটির।
Flight controllers intend to collect data until the lander’s solar panels are no longer exposed to light. Based on Earth and Moon positioning, we believe flight controllers will continue to communicate with Odysseus until Tuesday morning. Image credit: NASA/Goddard/Arizona State… pic.twitter.com/FFt8CXZPIC
— Intuitive Machines (@Int_Machines) February 26, 2024
অকালে মিশন শেষ হওয়ার খবর এমন সময় এসেছে যখন ওডিসিয়াসের ‘লেজার রেঞ্জ ফাইন্ডার’ কাজ না করার খবরও চাউর হয়েছে। এটি মহাকাশযানের পরীক্ষামূলক উড্ডয়নে ‘শর্টকাট’ উপায় অবলম্বন করা ও মানুষের ভুলের কারণেই হয়েছে বলে লিখেছে রয়টার্স।
নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টারে ওডিসিয়াসের পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের সময়ে কোম্পানিটি খরচ বাঁচাতে লেজার ব্যবস্থাটি চালু না করার সিদ্ধান্ত নেয়। আর এ কারণেই রেঞ্জ ফাইন্ডারের সমস্যাটি দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ইনটিউটিভ মেশিনসের এক কর্মকর্তা।
“অবশ্যই আমরা এটা নিয়ে পরীক্ষা করতে পারতাম। এটা চালুও করা যেত। তবে, এতে সময় লাগত অনেক, আর খরচও অনেক বাড়ত।” – শনিবার রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন কোম্পানির ন্যাভিগেশন সিস্টেমের প্রধান মাইক হ্যানসেন।
“সুতরাং, কোম্পানি হিসাবে এ বিরাট ঝুঁকিটি স্বীকার করেই তখন আমরা এ সিদ্ধান্ত নেই।”
কাত হয়ে অবতরণের খবরের পর সোমবার ইনটিউটিভ মেশিনের শেয়ার মূল্য ৩৫ শতাংশ কমেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।
ভুলভাবে অবরতণ করা সত্ত্বেও, ১৯৭২ সালে নভোচারী জিন সারনান ও হ্যারিসন স্মিথের চাঁদে যাওয়ার অন্তত অর্ধ শতাব্দী পর চাঁদের পৃষ্ঠে নামা যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মহাকাশযান ওডিসিয়াস।
পাশাপাশি, ব্যক্তিমালিকানাধীন কোনো প্রতিষ্ঠানের তৈরি ও চালিত প্রথম মহাকাশযানের চাঁদে অবতরণও এটিই। এ ছাড়া, নাসা’র ‘আর্টেমিস প্রোগ্রামে’র প্রথম মহাকাশযানও এটি। এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে এ দশকেই আবারও চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে নাসার।
এ ল্যান্ডারটি তৈরিতে দশ কোটি মার্কিন ডলার কোম্পানির পক্ষ থেকে খরচ করা হয়েছে। এ ছাড়া, বেসরকারি উদ্যোগে কম খরচে চাঁদে মহাকাশযান পাঠানোয় উৎসাহিত করার জন্য নাসার ‘কমার্শিয়াল লুনার পেলোড সার্ভিসেস’ (সিএলপিএস) প্রোগ্রামের অধীনে কোম্পানিটি আরও ১১ কোটি ৮০ লাখ ডলার পেয়েছে বলে উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।