ফোনটির আসল দাম পাঁচশ ৯৯ ডলার হলেও, কোম্পানির প্রত্যাশা ছিল একে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ ডলারের ঘরে বিক্রি করা। তবে, আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে এটি।
Published : 18 Jul 2023, 03:20 PM
দোকান থেকে আইফোন কেনার পর সাধারণত এর দাম কমে যায়। তবে, এর ব্যতিক্রম দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত এক নিলামে।
ওই নিলামে চার জিবি মডেলের ‘আনকোড়া নতুন’ প্রথম সংস্করণের আইফোন বিক্রি হয়েছে এক লাখ ৯০ হাজার তিনশ ৭২ ডলারে।
সে সময় এই মডেলের তেমন বেশি ফোন তৈরি না করায় এটি আইফোন সংগ্রাহকদের কাছে ‘হলি গ্রেইল’ হিসেবে বিবেচিত।
এই নিলাম পরিচালনা করেছে ৭০, ৮০ ও ৯০’র দশকের বিভিন্ন পণ্য নিলামে তোলা কোম্পানি ‘এলজিসি অকশনস’, যেখানে সর্বমোট ২৮টি ‘বিড’ অর্জনের পাশাপাশি মূল দামের চেয়ে প্রায় চারশ গুণ মূল্যে বিক্রি হলো ডিভাইসটি।
ফোনটি যে দামে বিক্রি হয়েছে, তার মধ্যে নিলাম কোম্পানির নির্ধারিত মূল্যের পাশাপাশি প্রশাসনিক খরচও অন্তর্ভূক্ত, যা ‘বায়ার্স প্রিমিয়াম’ নামে পরিচিত।
আর ওই অর্থ বিক্রেতা নয়, বরং সরাসরি ওই নিলাম কোম্পানি পেয়ে থাকে।
এলসিজি অকশনস নিলামে ওঠা এই বিরল ফোনকে ব্যাখ্যা করেছে ‘জনপ্রিয় ও সংগ্রাহকদের মধ্যে উচ্চ চাহিদাসম্পন্ন ডিভাইস’ হিসেবে। তারা আরও যোগ করে, গত বছরও দুটি প্রথম সংস্করণের নতুন আইফোন রেকর্ড মূল্যে বিক্রি হয়েছে।
কোম্পানির ওয়েবসাইটে এই মডেলকে ব্যাখ্যা করা হয়, “আইফোনের একেবারে বিরল, ফ্যাক্টরি সিল করা প্রথম সংস্করণের চার জিবি’র মডেল হিসেবে, যা খুবই ভালভাবে কাজ করে। আর ফোনের পৃষ্ঠ ও কোনাগুলোও ত্রুটিমুক্ত। এমনকি ফ্যাক্টরি সিল করার সময়ও এতে সঠিক বিবরণ ও কাঠামো রাখা হয়েছে।”
ফোনটির আসল দাম পাঁচশ ৯৯ ডলার হলেও, কোম্পানির প্রত্যাশা ছিল একে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ ডলারের ঘরে বিক্রি করা। তবে, আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে এটি।
২০০৭ সালে চার জিবি মডেলের ফোনটি উন্মোচন করেন অ্যাপলের সে সময়ের সিইও স্টিভ জবস। তবে, সে সময় ফোনটি তেমন বিক্রি না হওয়ায় উন্মোচনের দুই মাসেই এটি বাজার থেকে সরিয়ে নেয় মার্কিন এই টেক জায়ান্ট।
সে সময় বেশিরভাগ গ্রাহক একই সময় উন্মোচিত হওয়া আইফোনের আটজিবি মডেল কেনার সিদ্ধান্ত নেন। মাত্র একশ ডলার বাড়িয়ে দ্বিগুণ জায়গা পেতে চাওয়াকে এর কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিবিসি।
কয়েক মাস পরপরই অ্যাপলের কোনো বিরল স্মারক বা জবসের পেশাদার জীবনের বিভিন্ন অর্জনের নিদর্শন নিলামে বিক্রি হয়।
এর মধ্যে রয়েছে জবসের স্কুলের সহপাঠীর ‘ইয়ারবুক’-এ তার লেখা কবিতা, কলেজের ছবি ও তার ১৯৭৮ সালের বিজনেস কার্ড।
ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১১ সালে ৫৬ বছর বয়সে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জবস। অ্যাপল বলেছে, তার মাধ্যমে ‘এমন অসংখ্য উদ্ভাবন এসেছে, যা আমাদের সবার জীবনকে সমৃদ্ধ ও উন্নত করার’ পাশাপাশি গোটা পৃথিবীর ‘উপকার’ করেছে।
আর তার হাত ধরেই পৃথিবীতে এসেছে রঙিন আইম্যাক, আইপড, আইফোন ও আইপ্যাডের মতো ডিভাইস।