“এবারের মিশনের লক্ষ্য হল, স্টারসিপের সকল সিস্টেমের কার্যকারিতা সমুন্নত রেখে একে ভূপৃষ্ঠে ফিরিয়ে আনা।”
Published : 30 Mar 2024, 01:32 PM
বিশ্বের সবচেয়ে বড় রকেট স্টারশিপের আরেকটি সফল পরীক্ষা চালানোর পর এবার এর পরবর্তী মিশনের লক্ষ্যমাত্রা প্রকাশ করেছেন ইলন মাস্ক।
স্পেসএক্স-এর মালিক মাস্ক বলেন, পরবর্তী স্টারশিপ রকেটের উৎক্ষেপণ হতে পারে মে মাসের শুরুতে। এর লক্ষ্য হচ্ছে, মহাকাশযানটিকে প্রথমবারের মতো কক্ষপথ থেকে ভূপৃষ্ঠে ফিরিয়ে আনা।
বুধবার টেক্সাসের বোকা চিকায় অবস্থিত স্টারবেইজ ফ্যাসিলিটিতে নিজেদের নতুন স্টারশিপ রকেটের দ্বিতীয় ‘স্ট্যাটিক ফায়ার’ পরীক্ষা শেষ করেছে স্পেসএক্স।
“স্টারশিপের চতুর্থ ফ্লাইটের প্রস্তুতি,” বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ পোস্ট করেন মাস্ক।
“এবারের লক্ষ্য হল, স্টারসিপের সকল সিস্টেমের কার্যকারিতা সমুন্নত রেখে একে ভূপৃষ্ঠে ফিরিয়ে আনা।”
এ ‘স্ট্যাটিক ফায়ার’ পরীক্ষাটি চালানো হয়েছে স্টারশিপের সর্বশেষ মিশন শেষ হওয়ার দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে, যেখানে প্রথমবারের মতো কক্ষপথীয় গতিবেগে পৌঁছাতে সক্ষম হয় রকেটটি, তবে ফেরার সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে এর বিস্ফোরণ ঘটে।
গত সপ্তাহে স্পেসএক্স-এর সিওও গুয়াইন শটওয়েল বলেন, রকেটটির পরবর্তী উৎক্ষেপণ প্রচেষ্টা হতে পারে ‘মে মাসের শুরুর দিকে’, যদিও এ সময় রকেটের মধ্যে কোনও পেলোড থাকবে না।
স্টারশিপ রকেট সিস্টেমের চতুর্থ ফ্লাইট টেস্টের মূল লক্ষ্য হতে যাচ্ছে, আগের মিশনে যেসব ত্রুটি ধরা পড়েছিল, সেগুলোর সমাধান করা।
১২০ মিটার উচু স্টারশিপ রকেটের জ্বালানী সক্ষমতা ৭৫ লাখ কিলোগ্রাম। আর এখন পর্যন্ত তৈরি করা সবচেয়ে বড় ও ক্ষমতাশালী রকেট সিস্টেম এটি।
স্পেসএক্স-এর পরবর্তী প্রজন্মের রকেটটির প্রথম বাণিজ্যিক মিশনে সম্ভবত স্টারলিংকের স্যাটেলাইট পাঠানো হবে। এ বিষয়ে শটওয়েল বলছেন, এ বছর শেষ হওয়ার আগেই এর বাস্তবায়ন হওয়া উচিৎ।
এ ছাড়া, আর্টেমিস প্রকল্প নিয়ে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সঙ্গেও কয়েকশ কোটি ডলারের চুক্তি আছে স্পেসএক্স-এর, যার লক্ষ্য, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে চাঁদে মানুষের প্রত্যাবর্তন ঘটানো।
এ ছাড়াও, মঙ্গলে স্থায়ী মানব বসতি তৈরির লক্ষ্যে ও গোটা সৌরজগৎজুড়ে স্টারশিপের বহর পাঠানোর আশা করছেন মাস্ক।
তবে, এইসব লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে, একইসঙ্গে নির্ভরযোগ্য ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য একটি রকেট নির্মাণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।