“দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪৩ লক্ষ শিক্ষার্থী স্মার্ট বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে,” বলেন প্রতিমন্ত্রী।
Published : 26 Feb 2023, 07:51 PM
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকার ডিজিটাল নথির উন্নত সংস্করণ স্মার্ট নথি বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেছেন, “২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে ক্যাশলেস সোসাইটি এবং পেপারলেস অফিস প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়কে ধাপে ধাপে পেপারলেস করা হবে।”
রোববার ইউজিসি অডিটোরিয়ামে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্মার্ট নথি বাস্তবায়ন কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ইউজিসি।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ বলেন, “দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪৩ লক্ষ শিক্ষার্থী স্মার্ট বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে। তাদের উদ্ভাবনী সক্ষমতা বৃদ্ধি ও স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে স্মার্ট ক্যাম্পাস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। গ্রিন, ক্লিন এবং সেইফ ক্যাম্পাসের জন্য শিগগিরই একটি ফান্ডও গঠন করা হবে।”
তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পর্যায়ক্রমে সকল প্রকার আর্থিক লেনদেন ক্যাশবিহীন করার পরামর্শ দেন। স্মার্ট বাংলাদেশ ব্যবস্থায় আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স, বিগ ডেটা অ্যানালাইসিস, ব্লক চেইনসহ অন্যান্য ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তি ডিজিটাল নথির সাথে যুক্ত করার প্রক্রিয়া নিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ কাজ করছে বলে জানান। এই ব্যবস্থা চালু হলে সরকারি কাজে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি নিশ্চিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “গত ছয় বছরে সরকারের ১১ হাজার দপ্তরে এক লক্ষাধিক কর্মকর্তা দুই কোটির বেশি ফাইল ই-নথির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করেছেন। সরকারি সেবা ডিজিটাল মাধ্যমে প্রদান করায় অর্থ ও সময় সাশ্রয় হয়েছে যার আর্থিক মূল্য প্রায় ২১ বিলিয়ন ডলার।”
অনুষ্ঠানে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশে পদার্পণ করছি। ডিজিটাল নথি বাস্তবায়ন করা গেলে ফাইলের স্তূপ কমবে, সেবা প্রত্যাশীরা স্মার্ট সেবা পাবেন এবং ভোগান্তি কমে যাবে।”
অনুষ্ঠানে কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান এবং ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট, কমিউনিকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং বিভাগের পরিচালক ড. মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া বক্তব্য দেন।
এছাড়াও ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম, অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি ও শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।