শনিবার জাপানের হিরোশিমায় জি৭ শীর্ষ পর্যায়ের দুইদিন ব্যাপী বার্ষিক সম্মেলনের শেষ দিনে এমন মত এল।
Published : 21 May 2023, 06:36 PM
এআই প্রযুক্তির ওপর ‘ভরসা রাখার’ লক্ষ্যে এটির সঠিক নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। আর সে নিয়ন্ত্রণের কারগরি মান নির্ধারণের মত দিয়েছেন জি৭ দেশের শীর্ষ নেতারা।
শনিবার জাপানের হিরোশিমায় জি৭ শীর্ষ পর্যায়ের দুইদিন ব্যাপী বার্ষিক সম্মেলনের শেষ দিনে এমন মত এল।
শুক্রবার সম্মেলনের প্রথমদিনে শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলোর এই জোটের সরকার প্রধানরা জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তিকে সরকারীভাবে নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে একমত প্রকাশ হয়েছেন।
শুক্রবারের বৈঠক শেষে “হিরোশিমা এআই প্রসেস” শিরোনামে একটি কর্মপরিকল্পনা স্থির করেন নেতারা।
“হিরোশিমা এআই প্রসেস” অনুয়ায়ী সদস্য দেশগুলোর মন্ত্রীরা এআই প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাবেন এবং এ বছরের শেষ নাগাদ তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করবেন বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টর্স।
চ্যাটিজিপিটি আসার পর থেকে প্রযুক্তিটির জনপ্রিয়তা যেমন বাড়ছে, একইসঙ্গে এর মাধ্যমে প্রতারণা ও মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পড়ার শংকাও দিন দিন বাড়ছে। বিভিন্ন দেশে সরকারী পর্যায়ে প্রযুক্তিটি নিয়ন্ত্রণের জন্য নানা আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে গত কয়েক মাসে।
‘অর্গানাইজেশন ফর ইকোনোমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভোলাপমেন্ট’ এর মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির কাছে এআই নীতিমালা তৈরির বিভিন্ন দিক নিয়ে বিশ্লেষণ করে দেখতে আহবান জানিয়েছেন জি৭ শীর্ষ নেতারা।
এআই আইনের পথে ইউরোপীয় ইউনিয়ন
আগামী ৩০-৩১ মে সুইডেনে অনুষ্ঠিতব্য ট্রেড ও টেকনোলজি কাউন্সিলে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এই উদীয়মান প্রযুক্তিটি নিয়ে মতবিনিময়ের সম্ভবনা রয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে রয়টর্সের প্রতিবেদনে।
এআই নিয়ন্ত্রণের নীতিমালা নিয়ে সবার শুরুতে উদ্যোগ নেয় এই জোট। দুই বছর আগে ‘এআই অ্যাক্ট’ নামে এক খসড়া নীতিমালা তৈরির কাজ শুরু করে তারা।
উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রেও
এ মাসের শুরুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এআই ঝুঁকি নিয়ে নির্মাতা কোম্পানিগুলোর প্রধানদের সঙ্গে একটি বৈঠকে অংশ নেন।
সেই বৈঠকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস বলেছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর পণ্যগুলোকে নিরাপদ করে তৈরি করা কোম্পানিগুলোর এক ধরনের ‘দায়বদ্ধতা’। দেশটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে নতুন নীতিমালা ও সংশ্লিষ্ট আইন তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছে।