লেন্স ব্যবহার করে এমন শীর্ষ পর্যায়ের বিভিন্ন স্পাই ক্যামেরার চেয়ে একশ গুণ ভাল মান দিয়েছে এ লেজার ইমেজিং সিস্টেমটি।
Published : 14 Mar 2025, 02:27 PM
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী স্পাই ক্যামেরা তৈরি করেছেন চীনের বিজ্ঞানীরা। তাদের দাবি, পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথ থেকে মানুষের চেহারা শনাক্ত করতে পারে এটি।
ক্যামেরাটি তৈরি করেছেন ‘চাইনিজ একাডেমি অফ সায়েন্সেস’-এর ‘অ্যারোস্পেস ইনফরমেশন রিসার্চ ইনস্টিটিউট’-এর একটি গবেষণা দল।
এ প্রযুক্তিটি গোটা বিশ্বে নজরদারির জন্য নতুন মান নির্ধারণ করবে, যা ১০০ কিলোমিটার দূর থেকেও মিলিমিটার স্তরের রেজুলিউশন দিতে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।
ক্যামেরাটি নিয়ে প্রথম খবর প্রকাশ করে চীনের সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট। তারা প্রতিবেদনে লিখেছে, বেইজিংকে নজিরবিহীনভাবে বিদেশী সামরিক স্যাটেলাইট ও পৃথিবীনির্ভর প্রতিরক্ষা পর্যবেক্ষণে সহায়তা করবে এই অপটিক্যাল ইমেজিং প্রযুক্তিটি।
লেন্স ব্যবহার করে এমন শীর্ষ পর্যায়ের বিভিন্ন স্পাই ক্যামেরার চেয়ে একশ গুণ ভাল মান দিয়েছে এ লেজার ইমেজিং সিস্টেমটি।
এর আগে, ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ‘লকহিড মার্টিন’-এর মাধ্যমে পরিচালিত এক পরীক্ষায় ১.৬ কিলোমিটার দূর থেকে ২ সেন্টিমিটারের রেজুলিউশন পাওয়া গিয়েছিল।
নির্মাতারা এ নতুন ক্যামেরাটি নিয়ে পরীক্ষা করেছেন উত্তর পশ্চিম চীনের কিংহাই হ্রদের ১০১.৮ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে। ক্যামেরাটি হ্রদের অন্য প্রান্তের এমন বস্তুর ছবি তুলে এনেছে যার আকার কেবল এক দশমিক সাত মিমি।
পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে থাকা বিভিন্ন স্যাটেলাইট সর্বনিম্ন প্রায় ১৭০ কিলোমিটার উচ্চতায় কাজ করে। তবে এর বেশিরভাগই চালু করা হয় প্রায় আটশ কিলোমিটার উচ্চতায়।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, হ্রদের ওপারে এ ক্যামেরার পরীক্ষাটি ভালো আবহাওয়ার পরিস্থিতিতে করেছেন তারা। যার মানে খারাপ আবহাওয়া বা হালকা মেঘ থাকার বিষয়টি ক্যামেরার নির্ভুলতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
‘সিনথেটিক অ্যাপারচার লিডার অ্যাচিভস মিলিমিটার লেভেল অ্যাজিমুথ রেজুলিউশন ইমেজিং অ্যাট এ ডিসটেন্স অফ ১০০ কিলোমিটার ফর দ্য ফার্বার’ শিরোনামে গবেষণাটি প্রকাশ পেয়েছে ‘চাইনিজ জার্নাল অফ লেজার’-এ।
এদিকে, পৃথিবীতে মানুষের ওপর নজরদারি চালানোর প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে মার্কিন স্যাটেলাইট ইমেজিং স্টার্টআপ ‘অ্যালবেডো স্পেস’ও। তবে তাদের দাবি, তাদের এ ক্যামেরায় মানুষের চেহারা তেমন শনাক্ত করা যাবে না।