এটিকে তথ্য প্রাইভেসি নিয়ে বিশ্বের অন্যতম বড় প্রযুক্তি কোম্পানি ও যুক্তরাজ্য সরকারের মধ্যে নজিরবিহীন দ্বন্দ্বের সর্বশেষ ঘটনা।
Published : 08 Apr 2025, 02:07 PM
অ্যাপল ব্যবহারকারীদের এনক্রিপ্টেড ক্লাউড পরিষেবায় প্রবেশের জন্য কোম্পানিটির কাছে একটি ব্যাকডোর তৈরির দাবি জানিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। সরকারের এমন দাবি বাতিলের জন্য পাল্টা আইনি পদক্ষেপ নেয় অ্যাপল। দেশটির আদালত বলেছে, এই শুনানি রুদ্ধদ্বার হবে না।
চলমান এই বিরোধ সংশ্লিষ্ট সব ধরনের তথ্য জনসাধারণের সামনে না রাখার আবেদন করেছিল যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাদের এমন আবেদন বাতিল করে দিয়েছে যুক্তরাজ্যের ‘ইনভেস্টিগেটরি পাওয়ার্স ট্রাইবুনাল’।
‘ইনভেস্টিগেটরি পাওয়ার্স ট্রাইবুনাল’ হচ্ছে যুক্তরাজ্যের একটি বিশেষায়িত আদালত, যার নিরাপত্তা পরিষেবার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের ক্ষমতা রয়েছে।
এর আগে, যুক্তরাজ্য সরকার তাদের ‘ইনভেস্টিগেটরি পাওয়ার্স অ্যাক্ট’-এর অধীনে অ্যাপলের ‘অ্যাডভান্সড ডেটা প্রোটেকশন’ বা এডিপি সিস্টেমের মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকা ব্যবহারকারীদের ডেটায় প্রবেশাধিকার চেয়েছে।
এর জবাবে, ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাজ্য থেকে তাদের নিরাপত্তা ফিচার এডিপি সরিয়ে ফেললেও মার্চ মাসেই দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে আইফোন নির্মাতা কোম্পানিটি।
সে মামলার শুনানিই চলবে ইনভেস্টিগেটরি পাওয়ার্স ট্রাইবুনালে।
এটিকে তথ্য প্রাইভেসি নিয়ে বিশ্বের অন্যতম বড় প্রযুক্তি কোম্পানি ও যুক্তরাজ্য সরকারের মধ্যে নজিরবিহীন দ্বন্দ্বের সর্বশেষ ঘটনা বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।
যুক্তরাজ্য সরকারের যুক্তি ছিল, এসব আইনি পদক্ষেপের প্রকৃতি ও এর বিভিন্ন পক্ষ জনগণের সামনে প্রকাশ করা হলে তা দেশটির জাতীয় নিরাপত্তাকে ক্ষতির মুখে ফেলতে পারে।
সোমবার সকালে প্রকাশিত এক রায়ে এ বিতর্ক ঘিরে গণমাধ্যমে প্রকাশিত নানা প্রতিবেদনের দিকে ইঙ্গিত করে ও উন্মুক্ত ন্যায়বিচারের নীতি তুলে ধরে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন ট্রাইবুনালের বিচারকরা।
তারা বলেছেন, “শুনানির বিষয়টি জনসমক্ষে প্রকাশ না করে রুদ্ধদ্বারে পরিচালনার বিষয়টি নজিরবিহীন এক পদক্ষেপ হত।”
“রুদ্ধদ্বার বিচার প্রক্রিয়ায় আমরা যেসব বিষয় বিবেচনা করতাম, যেসব বিষয়ে আলোচনা হতো, আমরা মনে করি না, সেগুলো জন সাধারণের সামনে হলে তাতে জনস্বার্থ বা জাতীয় সুরক্ষা ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।”
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য বিবিসির অনুরোধে সাড়া দেয়নি যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।