ক্রিপ্টো শিল্পকে ‘ওয়াইল্ড ওয়েস্ট’ বলে আখ্যা দিয়েছেন এসইসি প্রধান গ্যারি জেনসলার। অন্যদিকে ক্রিপ্টো কোম্পানিগুলো বলছে, এসইসি’র নীতিমালা পরিষ্কার নয়।
Published : 31 Jul 2023, 04:37 PM
শীর্ষ ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ কয়েনবেইজকে বিটকয়েন বাদে বাকি সকল ক্রিপ্টোমুদ্রায় লেনদেন বন্ধ করার ‘আহ্বান জানিয়েছে’ যুক্তরাষ্ট্রের ‘সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)’। কোম্পানিটির বিরুদ্ধে এ নিয়ন্ত্রক সংস্থা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এর জবাবে এই ট্রেডিং কোম্পানিটির সিইও ব্রায়ান আর্মস্ট্রং বলছেন, এটি “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিপ্টো শিল্পের সমাপ্তি বয়ে আনবে”।
“আমাদের কাছে এই মূহুর্তে কোনো বিকল্প নেই। বিটকয়েন বাদে অন্যান্য সম্পদ তালিকা থেকে ছেঁটে ফেলার বিষয়টি কোনো আইনে উল্লেখ নেই।” - সোমবার আর্মস্ট্রংয়ের এ উদ্ধৃতি প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদপত্র ‘ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস’।
“এটি মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিপ্টো শিল্পের সমাপ্তি বয়ে আনবে।”
“বিষয়টা একেবারে সহজ…চলুন আদালতে যাই এবং জানার চেষ্টা করি তারা কী বলেন।” --যোগ করেন তিনি।
কয়েনবেইজের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ তুলেছে এসইসি। এর কারণ হিসেবে সংস্থাটি বলছে, তারা এক্সচেঞ্জ কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধিত হতে পারেনি। সংস্থাটি আরও অভিযোগ তোলে, ‘সোলানা’, ‘কারডানো’ ও ‘পলিগন’সহ অন্তত ১৩টি ক্রিপ্টো সম্পদের লেনদেন নিবন্ধন করেনি কয়েনবেইজ।
তবে, এসইসি বলছে, তাদের দিক থেকে কোনো কোম্পানিকে বিশেষ কোনো ‘ক্রিপ্টো সম্পদ তালিকা থেকে ছেঁটে ফেলার’ আনুষ্ঠানিক অনুরোধ করেনি।
এসইসি আরও যোগ করে, “তবে, তদন্ত চলাকালীন কোনো কর্মী হয়ত এমন মতামত দিতে পারেন, যে কাজগুলো বন্ধ না করলে কমিশন প্রশ্ন তুলতে পারে।”
এদিকে, জুন মাসে বাইন্যান্সের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল কোম্পানিটি। আর উভয় মামলাতেই ক্রিপ্টো শিল্পের ওপর এসইসি চেয়ারম্যান গ্যারি জেনসলারের হস্তক্ষেপ করার বিষয়টি উঠে আসে।
ক্রিপ্টো শিল্পকে ‘ওয়াইল্ড ওয়েস্ট’ বলে আখ্যা দিয়েছেন জেনসলার। এর কারণ হিসেবে তিনি বলছেন, মার্কিন পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের বিশ্বাসকে গুরুত্ব দেয়নি শিল্পটি। অন্যদিকে, ক্রিপ্টো কোম্পানিগুলো বলছে, এসইসি’র নীতিমালা পরিষ্কার নয়। আর নিয়ন্ত্রণের নামে সংস্থাটি বাড়াবাড়িই করছে।
ওই প্রতিবেদন সম্পর্কে রয়টার্স এসইসি ও কয়েনবেইজের মন্তব্য জানতে চাইলে তাৎক্ষণিক সাড়া মেলেনি।