Published : 23 Mar 2025, 05:13 PM
হুয়াওয়ে ও অন্যান্য চীনা কোম্পানি মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যাচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখছে দেশটির ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন বা এফসিসি।
এরইমধ্যে সংস্থাটির ‘কভার্ড লিস্টে’ থাকা বিভিন্ন চীনা কোম্পানির বিরুদ্ধে ‘ব্যাপক তদন্ত’ শুরু করেছে কমিশন। চীনের এসব কোম্পানির মধ্যে রয়েছে হুয়াওয়ে, জেডটিই ও চায়না টেলিকম।
মার্কিন সরকারের দাবি, এসব কোম্পানির সঙ্গে যোগ রয়েছে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির।
২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা ও “অবিশ্বস্ত যোগাযোগ টুল মার্কিন সীমান্তের মধ্যে ব্যবহার হচ্ছে না” তা নিশ্চিত করতে এসব কোম্পানির যোগাযোগ টুল, ভিডিও নজরদারি টুল ও বিভিন্ন পরিষেবাদি বিক্রি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করে বাইডেন প্রশাসন।
এফসিসি চেয়ারম্যান ব্রেন্ডন কার বলেছেন, ‘কভার্ড লিস্টে’র কিছু চীনা কোম্পানি এখনও যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করছে যাচ্ছে তা বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে সংস্থাটির।
তিনি আরও বলে, এসব কোম্পানি “ব্যক্তিগত বা অনিয়ন্ত্রিত ভিত্তিতে আমেরিকায় ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে সংস্থাটির বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কাজ করার চেষ্টা করছে।”
এ তদন্তটি যুক্তরাষ্ট্রের ‘কাউন্সিল ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি’র অধীনে প্রথম বড় উদ্যোগ বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট, যেটি সম্প্রতি এফসিসি’তে প্রয়োগ করেছেন কার।
নতুন কাউন্সিলের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, বিদেশি প্রতিপক্ষের ওপর মার্কিন প্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ খাতের নির্ভরতা এবং সাইবার হামলা ও গুপ্তচরবৃত্তির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের দুর্বলতা কমিয়ে আনা। পাশাপাশি ‘গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি নিয়ে চীনের সঙ্গে কৌশলগত প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রকে জয়ী করা’র বিষয়টিও নিশ্চিত করা।
‘কভার্ড লিস্টে’ থাকা বিভিন্ন কোম্পানি সম্পর্কে বিস্তৃত তথ্য সংগ্রহ করতে চায় এফসিসি। যুক্তরাষ্ট্রের যেসব কোম্পানি বা ব্যক্তি ‘কভার্ড লিস্টে’ থাকা এসব কোম্পানির চলমান ব্যবসায়িক কার্যক্রমে সহায়তা করছে তাদের সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য নিচ্ছে তারা।
এফসিসি বলেছে, “অবিশ্বস্ত ও বিদেশী প্রতিপক্ষকে যেসব রাষ্ট্রসমর্থিত ব্যক্তিরা নিয়ম এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে তাদের এমন যে কোনো ফাঁকফোকর বন্ধ করা হবে।”