টিকটকে কম লাইভস্ট্রিম দেখছেন তারা। আবার কমিউনিটি নির্দেশিকা লঙ্ঘনের মতো পোস্ট সরানো বা চিহ্নিত করার ঘটনা আগের চেয়ে বেড়েছে।
Published : 26 Jan 2025, 04:11 PM
কিছু মার্কিন টিকটক ব্যবহারকারী সম্প্রতি বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর তাদের কাছে টিকটক আর আগের মতো লাগছে না।
যারা একসময় অ্যাপটিকে বাকস্বাধীনতার স্বর্গ হিসাবে দেখতেন সেসব মার্কিন ব্যবহারকারী এখন বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে চীনের কোম্পানি বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন এ প্ল্যাটফর্মটি পুনরায় ফিরে আসার পরে অ্যাপটিতে সেন্সরশিপের লক্ষণ দেখতে পাচ্ছেন তারা।
বাইডেন প্রশাসনের সময় জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে নতুন এক আইনের অধীনে শনিবার দেশটিতে বন্ধ হয়ে যায় টিকটক। এরপর আবার তা চালু হলে ব্যবহারকারীরা অ্যাপটির মধ্যে পরিবর্তন খুঁজে পান বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।
বাইডেন প্রশাসনের এ আইনের আওতায় জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাপটি মার্কিন ক্রেতার কাছে বিক্রির বিষয়টি বাধ্যতামূলক। এ নিষেধাজ্ঞার সমাধান খুঁজে বের করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প, টিকটক কেনার জন্য এরইমধ্যে বেশ কয়েকজন সম্ভাব্য ক্রেতা রয়েছেন। যার মধ্যে আছেন রিপাবলিকান নতুন প্রেসিডেন্টর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরাও।
ব্যবহারকারীরা বলছেন, টিকটকে কম লাইভস্ট্রিম দেখছেন তারা। আবার কমিউনিটি নির্দেশিকা লঙ্ঘনের মতো পোস্ট সরানো বা চিহ্নিত করার ঘটনা আগের চেয়ে বেড়েছে।
“যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের পরিষেবা আবার ভালোভাবে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কিছু টিকটক ফিচার সাময়িকভাবে কাজ করছে না বা পাওয়া যাচ্ছে না। আর এ সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি,” মঙ্গলবার এক টিকটক বার্তায় মার্কিন ব্যবহারকারীদের বলেছে টিকটক।
এ বিষয়ে রয়টার্সের পক্ষ থেকে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি শর্ট ভিডিও প্লাটফর্মটি।
কিছু ব্যবহারকারী বলেছেন, বর্তমানে কম সার্চ ফলাফলের পাশাপাশি ভুল তথ্য সম্পর্কে সতর্কতা ও ব্যবহারকারীদের তাদের তথ্যের সূত্র খতিয়ে দেখার অনুরোধের মতো কনটেন্ট মডারেশন আরও বেশি দেখতে পাচ্ছেন তারা।
সোমবার এক নির্বাহী আদেশে সই করে ট্রাম্প বলেন, এর লক্ষ্য হচ্ছে বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে আনা ও সেন্সরশিপের অবসান ঘটানো, বিশেষ করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বেলায়।
মঙ্গলবার ট্রাম্প বলেছেন, তিনি মাস্কের সঙ্গে টিকটক কেনার বিষয়ে খোলামেলাভাবে কথা বলবেন। বর্তমানে প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও টিকটক কেনার বিষয়েও তাকে সহায়তা করছেন মাস্ক। ট্রাম্প বলেছেন, “মাস্ক প্লাটফর্মটি কিনতে চাইলে আমি সেই পথ খুলে দেবো।”
এদিকে, এক টিকটক ব্যবহারকারী লিসা ক্লাইন মেটা মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থ্রেডস-এ বলেছেন, ট্রাম্পের সমালোচনা করে টিকটকে একটি ভিডিও পোস্ট করতে সমস্যা হচ্ছে তার।
“আমি ছয়বারের মতো টিকটকে এটি পোস্ট করার চেষ্টা করেছি। তবে সেন্সরশিপের কারণে আমি এটি পোস্ট করার অনুমতি পায়নি। আশা করছি থ্রেডস-এ এটি কাজ করবে,” বলেছেন ক্লাইন।
অন্যদিকে, ২৭ বছর বয়সী আরেক টিকটক ব্যবহারকারী দানিশা কার্টার বলেছেন, শনিবার টিকটক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরপরই তার অ্যাকাউন্টও স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছে কোম্পানিটি। অ্যাকাউন্টে ২০ লাখ ফলোয়ার রয়েছে তার।
নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর দানিশা আবার অ্যাকাইন্টটি লগ ইনের চেষ্টা করলে তাকে টিকটক জানায়, ‘একাধিক নীতি লঙ্ঘনের’ কারণে বন্ধ হয়ে গেছে তার অ্যাকাউন্টটি।