এ পরীক্ষায় তারা উড্ডয়নশীল একটি প্লেন থেকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে একটি ৪কে ভিডিও ফুটেজ সফলভাবে পাঠিয়েছেন ও আবার গ্রহন করেছেন।
Published : 25 Jul 2024, 06:13 PM
সম্প্রতি মহাকাশে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য সফলভাবে লেজারনির্ভর প্রযুক্তি পরীক্ষা করেছেন নাসার গবেষকরা।
এ পরীক্ষায় তারা উড্ডয়নশীল একটি প্লেন থেকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে একটি ৪কে ভিডিও ফুটেজ সফলভাবে পাঠিয়েছেন ও আবার গ্রহন করেছেন।
এ অর্জন থেকে ইঙ্গিত মেলে, আর্টেমিস মিশনে চাঁদে অবতরণের সম্ভাব্য ঘটনা সরাসরি সম্প্রচারের সুযোগ পেতে পারে মার্কিন এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি। এমনকি মঙ্গল গ্রহ ও এর চেয়ে দূরে কোথাও মানুষের যোগাযোগ বিকাশের সম্ভাবনা দেখাচ্ছে এটি।
ভূপৃষ্ঠ থেকে মহাকাশে ডেটা পাঠাতে বা কথা বলতে নাসা সাধারণত বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করে। তবে সংস্থাটির দাবি, ইনফ্রারেড আলোর মাধ্যমে লেজারভিত্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যবহার করলে রেডিও’র তুলনায় ১০ থেকে একশ গুণ পর্যন্ত দ্রুত ডেটা আদান প্রদানের সুযোগ মিলবে।
এজন্য নাসার প্রকৌশলীরা একটি অ্যারোপ্লেনের সঙ্গে একটি পোর্টএবল লেজার টার্মিনাল যুক্ত করেছিলেন। পরবর্তীতে মার্কিন অঙ্গরাজ্য ওহাইও’র ‘লেক ইরি’র ওপর দিয়ে প্লেনটি উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে এর বিভিন্ন তথ্য ক্লিভল্যান্ড শহরে নাসার নিজস্ব ডেটা সেন্টারে ফেরত পাঠানো হয়।
এর পর তা একটি স্থলজ নেটওয়ার্ক দিয়ে নিজেদের নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যের পরীক্ষাগারে পাঠায় নাসা, যেখানে ওই তথ্য ৩৫ হাজার চারশ কিলোমিটার দূরে থাকা সংস্থাটির ‘লেজার কমিউনিকেশন্স রিলে ডেমোনস্ট্রেশন (এলসিআরডি)’ স্যাটেলাইটে পাঠান বিজ্ঞানীরা।
পরবর্তীতে ওই ডেটা ‘রিলে করে’ মহাকাশ স্টেশনের ‘ইন্টিগ্রেটেড লেজার কমিউনিকেশন্স লো আর্থ অরবিটার ইউজার মডেম অ্যান্ড অ্যামপ্লিফায়ার টার্মিনাল (ইলুমা-টি)’ নামের টার্মিনালে পাঠায় স্যাটেলাইটটি।
আর্টেমিসের বিভিন্ন মিশন পিছিয়ে গেলেও এ প্রকল্পের চতুর্থ মিশনের লক্ষ্য, ২০২৮ সাল নাগাদ চাঁদে মানুষের প্রত্যাবর্তন। ততদিনে ৮কে টিভিতে চাঁদে নভোচারীদের ৪কে লাইভস্ট্রিম দেখার সম্ভাবনা আছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি সাইট ভার্জ।