কনফিডেনসিয়াল মোডে পাঠানো ইমেইল বার্তাগুলোর প্রাপকেরা মেইলটি ও মেইলের সঙ্গে পাঠানো কোনো কিছুই ফরওয়ার্ড, কপি, প্রিন্ট বা ডাউনলোড করতে পারবেন না।
Published : 26 Apr 2024, 05:12 PM
জিমেইলে ‘কনফিডেনসিয়াল মোড’ নামের একটি ফিচার রয়েছে। এ ফিচারের মাধ্যমে ইমেইল পাঠালে, মেইলটি ফরওয়ার্ড, কপি, প্রিন্ট বা ডাউনলোড করা যায় না।
পাশাপাশি, প্রেরক চাইলে ইমেইলে একটি মেয়াদ বা তারিখ সেট করে দিতে পারবেন, যেটি শেষ হয়ে গেলে প্রাপক আর ইমেইলটি খুলতে পারবেন না। এ ছাড়াও, পিসি থেকে প্রাপকের ‘অ্যাক্সেস’ বা ইমেইল চালু করার অনুমতি যে কোনো সময়েই বন্ধ করা যাবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ।
জিমেইলের কনফিডেনসিয়াল মোড চালু করা তেমন জটিল কোনো কাজ নয়, চলুন ধাপে ধাপে দেখে নেওয়া যাক এ ফিচারের বিস্তারিত।
কম্পিউটার থেকে নিরাপদ ইমেইল পাঠান
১. পিসিতে যে কোনো ওয়েব ব্রাউজার থেকে জিমেইল চালু করুন।
২. স্ক্রিনের ওপরে বাম কোণা থেকে ‘কম্পোজ’ আইকনে ক্লিক করুন।
৩. এবারে ইমেইল উইন্ডোর একেবারে নিচে ‘টগল কনফিডেনশিয়াল মোড’ অপশনটির ওপরে ক্লিক করুন।
৪. পরবর্তী পপ-আপ মেনু থেকে ‘এক্সপাইরেশন ডেট’ অথবা মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ নির্বাচন করুন।
৫. কেউ চাইলে ‘এসএসএস পাসকোড’ অপশনটিও চালু করতে পারেন।
৬. এবারে ইমেইলের মেয়াদ কখন শেষ হবে তা নির্দেশ করে স্ক্রিনে একটি বার্তা আসবে।
এখন নিজের প্রয়োজন অনুসারে ইমেইল লিখে পাঠিয়ে দিলেই এটি কনফিডেনশিয়াল মোডের ইমেইল হিসেবে যাবে। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর প্রাপক ইমেইলটি খুলতেও পারবেন না।
মোবাইল থেকে কনফিডেনসিয়াল মোড চালু করুন
অনেক সময় মোবাইল থেকেও নিরাপদ মেইল পাঠানোর প্রয়োজন হতে পারে। অ্যান্ড্রয়েড অথবা আইওএসে জিমেইলের মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেও এ কাজ করা যাবে।
১. অ্যান্ড্রয়েড অথবা আইফোনে জিমেইল অ্যাপটি চালু করুন।
২. নিচের ডান কোণায় ‘কম্পোজ’ বাটনে ট্যাপ করুন।
৩. স্ক্রিনের ওপরের ডান কোণায় ‘থ্রি ডট’ বা তিনটি ডটে ট্যাপ করুন।
৪. ড্রপ ডাউন মেনু চালু হলে, সেখান থেকে ‘কনফিডেনসিয়াল মোড’ অপশনটি বেছে নিন।
৫. কনিডেনসিয়াল মোডের টগলটি চালু করুন।
৬. ‘এক্সপাইরেশন ডেট’ অথবা মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ নির্বাচন করুন।
৭. স্যান্ডার্ড অথবা এসএমএস পাসকোডের অপশন বাছাই করুন।
৮. ওপরে ‘সেইভ’ অপশনে ট্যাপ করুন।
৯. এবারে ইমেইলের মেয়াদ কখন শেষ হবে তা নির্দেশ করে স্ক্রিনে একটি বার্তা আসবে।
মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কীভাবে প্রাপকের ‘অ্যাক্সেস’ সরাবেন
একটি ইমেইল পাঠিয়ে ফেলার পরে যদি মনে হয়, এর প্রাপক মেইলটি দেখার যোগ্যতা হারিয়েছেন বা নিজে কোনো ভুল করে ফেলেছেন, সেক্ষেত্রে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই প্রাপকের কাছ থেকে ইমেইল দেখার অনুমতি ফিরিয়ে নেওয়া যাবে।
১. ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে জিমেইল চালু করুন।
২. ‘সেন্ট’ ট্যাবে ক্লিক করুন।
৩. যে কনফিডেনসিয়াল মেইলটি পাঠিয়েছেন সেটি খুঁজে বের করুন, এবং খুলুন।
৪. ‘রিমুভ অ্যাক্সেস বাটন’ অপশনে ক্লিক করুন।
প্রাপকের ক্ষেত্রে এটি কীভাবে কাজ করে?
কনফিডেনসিয়াল মোডে পাঠানো ইমেইল বার্তাগুলোর প্রাপকেরা মেইলটি ও মেইলের সঙ্গে পাঠানো কোনো কিছুই ফরওয়ার্ড, কপি, প্রিন্ট বা ডাউনলোড করতে পারবেন না। এ বিধিনিষেধের বাইরে, কনফিডেনসিয়াল মোড ইমেইল অন্য যে কোনো ইমেইলের মতোই কাজ করে। ব্যবহারকারীর ইনবক্সে এটি দেখা যাবে ও সেখান থেকেই ইমেইলটি খোলা যাবে।
জিমেইল প্ল্যাটফর্মে একটি নিরাপদ ইমেইল পাঠানো যায় দুটি উপায়। এখানে একটি উপায়ের বিস্তারিত বলা হয়েছে। কেউ যদি, ইমেইলের প্রাপক বন্ধু ও পরিবার বাদেও, হ্যাকাররা ইমেইল পড়ে ফেলবে এ বিষয়ে চিন্তিত হন, তবে কেবল ‘কনফডেনসিয়াল মোড’ সে চিন্তা দূর করবে না। ‘এনক্রিপশন’-এর মাধ্যমে মেইল পাঠানোর আরও নিরাপদ উপায় রয়েছে জিমেইলে। কিন্তু এর জন্য ব্যবহারকারীকে ‘গুগল ওয়ার্কস্পেস’-এর আর্থিক সাবস্ক্রিপশন নিতে হবে।
টেক্সটিং বা সোশাল মিডিয়া মেসেজিংয়ের চেয়ে ইমেইল বেশি নিরাপদ বলে মনে হতে পারে। তবে, বাস্তবতা হল আধুনিক যুগে, হ্যাকারদের হাত থেকে ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদ রাখার বেশকিছু উপায় রয়েছে। পাসওয়ার্ড ম্যানেজারের মতো কিছু টুল সাহায্য করতে পারে। এ ছাড়া, কনফিডেনশিয়াল মোড বা এনক্রিপশনের মতো উপায়গুলোর বিস্তারিত জানা উচিত যেন এগুলো ব্যবহার করে ব্যক্তিগত তথ্য যতটা সম্ভব সুরক্ষিত রাখতে পারেন।