সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জালিয়াতির আশঙ্কায় ক্রিপ্টোর বিরুদ্ধে অভিযান চালালেও ট্রাম্প নিজের নির্বাচনী প্রচারের সময় থেকেই ক্রিপ্টোমুদ্রাকে সমর্থন করে যাচ্ছেন।
Published : 08 Mar 2025, 01:17 PM
বিটকয়েনের জন্য কৌশলগত রিজার্ভ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এক নির্বাহী আদেশে সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
তার এ পদক্ষেপ বিশ্বের যে অল্প কয়টি দেশ ব্লকচেইন সম্পদের জাতীয় মজুদ তৈরি করছে তাদের তালিকায় নিয়ে এসেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘হোয়াইট হাউস এআই ও ক্রিপ্টো জার’-এর দায়িত্বে থাকা ডেভিড স্যাকস সম্প্রতি এক এক্স পোস্টে বলেছেন, বিভিন্ন ফৌজদারি বা দেওয়ানি মামলায় বাজেয়াপ্ত করা যে ক্রিপ্টোকারেন্সি ফেডারেল সরকারের কাছে, তা-ই থাকবে এই রিজার্ভে।
ট্রাম্প প্রশাসনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ক্রিপ্টোকারেন্সি সংশ্লিষ্ট নীতি উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন স্যাকস।
স্যাকস বলেছেন, এ রিজার্ভে জমা পড়া কোনও বিটকয়েন বিক্রি করবে না যুক্তরাষ্ট্র। এর বদলে রিজার্ভে সম্পদ হিসাবে থাকবে এ সম্পদ।
বিবিসি লিখেছে, কেবল চার বছর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, বিটকয়েন “একটি স্ক্যামের মতো”। আর এখন বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রকে “বিশ্বের ক্রিপ্টো রাজধানী” বানানোর পরিকল্পনা করছেন তিনি।
তবে, পরিকল্পিত এ রিজার্ভ কোনো আইনি বাধায় পড়বে কি না, বা এর জন্য কংগ্রেসের কোনও পদক্ষেপের হবে কি না, তা স্পষ্ট নয় বলে প্রতিবেদনে লিখেছে সংবাদমাধ্যমটি।
এ রিজার্ভকে কেনটাকির বিখ্যাত সামরিক ঘাঁটির সঙ্গে তুলনা করে স্যাকস বলেছেন, “ক্রিপ্টোকারেন্সির জন্য একটি ডিজিটাল ফোর্ট নক্স” হিসেবে কাজ করবে এটি। যুক্তরাষ্ট্রে মজুদ সোনার বেশিরভাগ রক্ষিত আছে ফোর্ট নক্স-এ।
স্যাকস বলেছেন, এ রিজার্ভে আনুমানিক দুই লাখ বিটকয়েন রয়েছে, যার মূল্য এক হাজার সাতশ ৫০ কোটি ডলার।
নতুন এ ক্রিপ্টো রিজার্ভ কীভাবে আমেরিকানদের উপকারে আসবে তা স্পষ্ট নয়। তবে স্যাকস বলেছেন, এতে “করদাতাদের এক পয়সাও খরচ হবে না”।
এদিকে মার্কিন সরকার বিটকয়েন কিনবে না বলে ট্রাম্পের ইঙ্গিতের ফলে বিশ্বের অন্যতম বড় ক্রিপ্টোমুদ্রাটির দাম পাঁচ শতাংশেরও বেশি কমে গেছে।
কিছু দেশ সরকারি সম্পদের বৈচিত্র্য আনতে ও আর্থিক ঝুঁকি কাটিয়ে উঠতে জাতীয় সম্পদের কৌশলগত রিজার্ভ বা মজুদ রাখে, যা খুব স্বাভাবিক বিষয়। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র পেট্রোলিয়াম ও কানাডা ম্যাপেল সিরাপের মজুদ রাখে।
এ সপ্তাহের শুরুতে পাঁচটি ক্রিপ্টোকারেন্সির নাম প্রকাশ করেন ট্রাম্প, যেগুলোকে কৌশলগত রিজার্ভে অন্তর্ভুক্ত করতে চান বলেও জানান তিনি।
ট্রাম্পের এ ঘোষণার পরই বিটকয়েন, ইথেরিয়াম, এক্সআরপি, সোলানা ও কার্ডানো নামের এ পাঁচটি ক্রিপ্টোমুদ্রার মূল্য দ্রুত লাফিয়ে ওঠে।
বিবিসি লিখেছে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জালিয়াতির আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে ক্রিপ্টোর বিরুদ্ধে অভিযান চালালেও ট্রাম্প নিজের নির্বাচনী প্রচারের সময় থেকেই ক্রিপ্টোমুদ্রাকে সমর্থন করে যাচ্ছেন।