ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ সারে-র ৫জি ইনোভেশন সেন্টারের (ফাইভজিআইসি) গবেষকরা ডেটা সংযোগে অর্জন করেছেন প্রতি সেকেন্ডে এক টেরাবাইট গতি। বলা হচ্ছে, সাধারণ ৪জি সংযোগের তুলনায় প্রায় ৬৫ হাজার গুণ দ্রুতগতি সম্পন্ন এই ৫জি।
Published : 27 Feb 2015, 03:12 PM
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৮ সাল নাগাদ নতুন এই প্রযুক্তি জনসাধারণের সামনে প্রদর্শন করতে আশাবাদি ফাইভজিআসি-এর প্রধান। আর ২০২০ সাল নাগাদ যুক্তরাজ্যে জনসাধারণের হাতে পৌঁছাতে পারে ৫জি, এমনটাই দাবি যুক্তরাজ্যের সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থা অফকমের।
ফাইভজিআইসি পরিচালক অধ্যাপক রাহিম তাফাজোলি বলেন, “আমরা ১০টি যুগান্তকারী প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছি এবং এদের একটির মানে হল আমরা প্রতিসেকেন্ডে ১ টেরাবাইট গতি অর্জন করতে পারব তারবিহীনভাবে। এটি ফাইবার অপটিকসের ক্ষমতার সমান তবে নতুন প্রযুক্তিটি তারহীন।”
গবেষক দলটি নিজস্ব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ল্যাবের পরিবেশে ১শ’ মিটার দুরত্বে ৫জি নিয়ে পরীক্ষা করছে। বাস্তব জগতের পরিবেশে একই গতি অর্জন করা সম্ভব হবে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়। তবে আগেও কয়েকবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশেই পরীক্ষা করতে চান প্রফেসর তাফাজোলি, জানিয়েছে বিবিসি।
৫জি গতিসম্পন্ন মোবাইল ডিভাইসগুলো প্রতিসেকেন্ডে ১০ থেকে ৫০ গিগাবাইট গতিতে ফাইল ট্রান্সফার করতে পারবে বলে ধারণা করছে অফকম। ৪জি সংযোগে প্রতিসেকেন্ডে গড়ে ১৫ মেগাবাইট গতিতে ডেটা ট্রান্সফার করা যায়।