২০২২ সাল নাগাদ নিজস্ব ৫জি সেবায় একশ কোটি গ্রাহকের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করতে চায় সুইডিশ টেলিকম পণ্য নির্মাতা এরিকসন। এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে চীন ও উত্তর আমেরিকা।
Published : 21 Jun 2022, 05:14 PM
এরিকসন এই লক্ষ্যের কথা জানিয়েছে মঙ্গলবার। তবে, ইউক্রেইনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের পর বিশ্বব্যাপী তুলনামূলক দুর্বল অর্থনীতি এবং অনিশ্চয়তার কারণে নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর সম্ভাবনা কমে যাওয়ার কথা নিজেদের দ্বিবার্ষিক ‘মোবিলিটি রিপোর্টে’ উল্লেখ করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।
চীনের হুয়াওয়ে এবং ফিনল্যান্ডের নোকিয়ার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা এরিকসন বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ মোবাইল পণ্য সরবরাহক প্রতিষ্ঠান। এসব পণ্যের মধ্যে ৫জিও রয়েছে।
বছরের প্রথম প্রান্তিকে এরিকসনের ৫জি গ্রাহক সংখ্যা সাত কোটি থেকে বেড়ে ৬২ কোটিতে গিয়ে ঠেকেছে। অন্যদিকে, প্রতিষ্ঠানটির ৪জি গ্রাহক সংখ্যা সাত কোটি থেকে বেড়ে ঠেকেছে প্রায় ৪৯০ কোটিতে।
৫জি বা পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্কে আগের প্রজন্মের নেটওয়ার্কের চেয়ে তুলনামূলক বেশি গতি পাওয়া যায়। নতুন এই নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থা এমনভাবে ডিভাইস সংযোগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা ভবিষ্যতে স্বচালিত ড্রাইভিংয়ের মতো ফিচার আনার সুযোগ করে দিতে পারে।
২০২৭ সাল নাগাদ প্রায় ৪৪০ কোটি গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে পারে ৫জি। এ বছর ৪জি ব্যবহারকারীর সংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌছালেও গ্রাহকরা ৫জি-তে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এটি কমে যাবে বলে উঠে এসেছে প্রতিষ্ঠানটির দ্বিবার্ষিক প্রতিবেদনে।
এর আগে ২০২১ সালেই ৪জিতে সর্বোচ্চ গ্রাহক আনার আশাবাদ ব্যক্ত করেছিল এরিকসন।
এই বছর এরিকসন একশ কোটি গ্রাহকের লক্ষ্যমাত্রায় যেতে পারলে এটি ৪জির চেয়ে দুই বছর আগেই নিজেদের নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছাবে। ৪জি চালু হওয়ার ১০ বছর পর একশ কোটি গ্রাহকে পৌঁছেছিল প্রতিষ্ঠানটি।
টেলিকম অপারেটরদের ৫জি এবং হ্যান্ডসেটের দাম ১২০ ডলারে নামিয়ে আনার প্রচেষ্টা গ্রাহককে ৫জিতে নিতে সাহায্য করবে বলে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন প্রতিষ্ঠানটির দ্বিবার্ষিক প্রতিবেদনের নির্বাহী সম্পাদক পিটার জনসন।
“২০২১ সালে চীন যোগ করেছে ২৭ কোটি গ্রাহক, যেখানে উত্তর আমেরিকা যোগ করেছে সাড়ে ছয় কোটি গ্রাহক।” --বলেছেন জনসন।
অন্যদিকে, ৫জি নিয়ে নিলাম ডাকা দেশ ভারতে এ বছর শেষ নাগাদ গ্রাহক বাড়ার সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
“ভারতে ২০২২ সালে তিন কোটি এবং ২০২৩ সালে পাঁচ কোটি গ্রাহক আশা করছি আমরা।”