অ্যাপ স্টোরের গেইমে ‘লুট বক্স’ রাখার অনুমোদন দেওয়ায় শুক্রবার মামলা হয়েছে অ্যাপলের নামে। লুট বক্স অপশনটি ইন-অ্যাপ পারচেসের সঙ্গে সম্পৃক্ত, এর মাধ্যমে গেইমে নানাবিধ ডিজিটাল উপহার পান ইন-অ্যাপ পারচেস ক্রেতা।
Published : 15 Jun 2020, 12:34 AM
মার্কিন ‘ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট ফর নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্ট অফ ক্যালিফোর্নিয়ায়’ এই ক্লাস-অ্যাকশন মামলায় অভিযোগ হলো-- অ্যাপল ‘জুয়া এবং আসক্তিকর’ কৌশলের ব্যবহার ও প্রচারণার সঙ্গে জড়িত। কারণ, প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের অ্যাপ স্টোরে ডেভেলপারদেরকে এমন গেইম ও অ্যাপ ছাড়তে দিচ্ছে যাতে লুট বক্স রয়েছে। - খবর অ্যাপল পণ্য ও সেবা সংবাদদাতা অ্যাপল ইনসাইডারের।
অভিযোগ বলছে, “প্রতিষ্ঠানের জন্য বড় মাপের মুনাফা গড়তে বিগ টোবাকো জো ক্যামেলের মত অ্যাপলও বিজ্ঞাপন প্রচারণার মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে আসক্তি তৈরি করে তা-র উপর নির্ভর করছে। গত চার মাসে বিবাদীর অ্যাপ স্টোর গেইমের মাধ্যমে আয় হয়েছে শত কোটি ডলার, অথচ এগুলোর অধিকাংশই বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যায়”।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লুট বক্স অপশনটি ‘ইন-অ্যাপ পারচেসে’র মাধ্যমে পান ব্যবহারকারী। অপশনটির মাধ্যমে ব্যবহারকারী বিভিন্ন ধরনের প্রিমিয়াম উপহারের সুযোগ পান। এসব প্রিমিয়াম উপহারের মধ্যে রয়েছে পোশাক, স্কিন, বুস্ট, হাতিয়ারসহ আরও অনেক কিছু।
গেইমারদের মধ্যে লুট বক্স অপশনটি বেশ জনপ্রিয়। কোন উপহারটি পাবেন, তা আগে থেকে ঠিক করে দিতে পারেন না ব্যবহারকারী। এই প্রক্রিয়ায় ‘ইন-গেইম কারেন্সি’ পদ্ধতিতে বাস্তব দুনিয়ার অর্থ গেইমে খরচ করে থাকেন গেইমাররা।
ইন-অ্যাপ পারচেস থেকে যা মুনাফা হয়, তার একটি অংশ অ্যাপলও পেয়ে থাকে। সে কারণেই অভিযুক্ত তালিকায় এসেছে অ্যাপলের নাম।
“অ্যাপলের মুনাফার বেশ বড় একটি অংশ আসে অ্যাপ স্টোরের গেইম থেকে, ইন অ্যাপ পারচেস থেকে। এটি গেইমিং শিল্পে লুট বক্স বা লুট ক্রেট নামে পরিচিত”। অ্যাপ স্টোরে ডজন ডজন (শত শত না হলেও) গেইম কোনো না কোনো ধরনের লুট বক্স বা এ ধরনের জুয়া প্রক্রিয়ার উপর নির্ভর করে শত শত কোটি ডলার আয় করছে, এর অধিকাংশই আসে শিশুদের কাছ থেকে”।
মামলার বাদী রেবেকা টেইলর দাবি করেছেন তার ছেলে “সি.টি.” ‘সুপারসেলের ব্রল স্টার গেইমের’ পেছনে আইটিউনস গিফট কার্ডে অন্তত ২৫ ডলার এবং মা-বাবার অর্থ ব্যয় করেছে। অ্যাপলের ‘প্যারেন্টাল কন্ট্রোল’ এবং অ্যাপ স্টোর ফিচার যা নাবালকদের অর্থ খরচ থেকে বিরত রাখে, সেগুলোর ব্যাপারে মামলার অভিযোগে তেমন কিছু নেই।