‘করেলিয়ামের’ বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাপল। বিষয়টিকে ‘জেইলব্রেকের’ সমাপ্তি হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
Published : 01 Jan 2020, 03:35 PM
অগাস্ট মাসে করেলিয়ামের বিরুদ্ধে মামলাটি ঠুকেছিল মার্কিন টেক জায়ান্ট খ্যাত প্রতিষ্ঠানটি। ওই মামলায় দাবি করা হয়েছে, করেলিয়াম ‘নিখুঁত নকল’ আইওএস তৈরির মাধ্যমে মুনাফা করছে। সম্প্রতি ওই মামলাটিকে আরও সংশোধন করেছে অ্যাপল। এবারে কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে প্রতিষ্ঠানটি। -- খবর বিবিসি’র।
করেলিয়ামের প্রধান নির্বাহী এক খোলা চিঠিতে ডেভেলপার ও জেইলব্রেকারদেরকে অ্যাপলের পদক্ষেপ নিয়ে ‘শঙ্কিত’ হতে বলেছেন।
জেইলব্রেইক প্রক্রিয়ায় মূলত অ্যাপলের অপারেটিং সিস্টেমকে পাল্টে দেওয়া হয়, সরিয়ে দেওয়া হয় বেশ কিছু বিধিনিষেধ। এতে করে ব্যবহারকারীরা আইওএস-এ আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ পান। চাইলে অ্যাপলের অননুমোদিত অ্যাপও ইন্সটল করা সম্ভব হয়। অনেকে আবার নিজ ইচ্ছানুযায়ী ইন্টারফেইস কাস্টোমাইজ করে থাকেন।
আইওএস নিখুঁতভাকে নকল করতে করেলিয়াম বেশ দক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, এতে করে প্ল্যাটফর্মটিতে বাগ খুঁজে পান নিরাপত্তা গবেষকরা। কিন্তু অ্যাপল বলছে ভিন্ন কথা।
মার্কিন এ টেক জায়ান্ট বলছে, ডিভাইসের ত্রুটি খুঁজে বের করে তা বাজারে বিক্রি করতে উৎসাহিত করে থাকে করেলিয়াম। তবে, এমন অভিযোগ নিতে রাজি নয় করেলিয়াম। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, এরকম অভিযোগ “খুবই হতাশাজনক” এবং জেইলব্রেক কমিউনিটির লক্ষ্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করছে।
“করেলিয়ামের কর্মকাণ্ড অ্যাপলের কপিরাইট লঙ্ঘন করছে।” – এক বিবৃতিতে বলেছে অ্যাপল। “এটি শুধু সব কপি করে, কোড, গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেইস, আইকন - সব, একদম পুঙ্খানুপাঙ্খভাবে।”
“এটি এমন কোনো ঘটনা নয় যেখানে বিবাদী অধিকার লঙ্ঘন করেছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন করার বা অস্বচ্ছ্বতার কোনো সুযোগ আছে।” – বলছে অ্যাপল। এদিকে, করেলিয়াম প্রধান নির্বাহী আমান্ডা গর্টন এক বিবৃতিতে বলেছেন, “জেইলব্রেকে সহযোগিতা করে এমন টুল সরবরাহ করলে বা তৈরিতে সহযোগিতা করলে ডিজিটাল মিলেনিয়াম অ্যাক্ট লঙ্ঘন হয় বলে মনে করছে অ্যাপল।”
“তারা কিন্তু জেইলেব্রেক থেকে সরাসরি উপকৃত হয়েছে। আইওএসের অনেক ফিচার প্রথমে জেইলব্রেকে ছিল, পরে তা কপি করে আইওএসে নিয়ে এসেছে অ্যাপল।”