“হাওয়াইয়ের দিকে ধেয়ে আসছে ব্যালিস্টিক মিসাইল। নিরাপদ আশ্রয় খুঁজুন। এটি কোনো মহড়া নয়।”- হঠাৎ করেই যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই অঞ্চলের অধিবাসীদের দেওয়া হয়েছে এই সতর্ক বার্তা।
Published : 14 Jan 2018, 02:21 PM
না, হলিউড-এর কোনো চলচ্চিত্রের দৃশ্যবর্ণনা নয় এটি। ১৩ জানুয়ারি সকালে সত্যি এমন সতর্কবার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। অধিবাসীদের ফোন আর টেলিভিশনে এই সতর্কবার্তা প্রচার করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রযুক্তি সাইট ভার্জ-এর প্রতিবেদনে।
তাহলে কি যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ নিয়ে উত্তর কোরিয়ার বারবার দেওয়া হুমকি এবার সত্য হয়ে গেল? না, এমনটাও নয়। কিছুক্ষণ পরই এই সতর্কবার্তা মিথ্যা বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু কীভাবে এমন বার্তা ছড়ালো, কারণ হিসেবে একে ‘ভুল’ হিসেবেই আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
হাওয়াইয়ের কংগ্রেস সদস্য টুলসি গ্যাবার্ড এই সতর্কবার্তার একটি স্ক্রিনশট পোস্ট করে বলেন, এটি একটি মিথ্যা সংকেত। তারপর এলাকাটিতে এমন কোনো ঝুঁকি না থাকার বিষয়টি কর্মকর্তাদের নিয়ে নিশ্চিত করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর অধীনস্থ প্যাসিফিক কমান্ড-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, এই বার্তা ভুলে পাঠানো হয়েছে আর এটি সংশোধনে কর্তৃপক্ষের ৩০ মিনিটেরও বেশি সময় লেগে যায়।
গভর্নর ডেভিড আইজ বলেন, “এমনটা ঘটা উচিৎ নয়। কীভাবে কী ঘটলো তা নিয়ে আমরা তদন্ত করছি। জরুরী ব্যবস্থাপনা বিভাগে কোনো ভুল হয়েছিল যার ফলে এই মিথ্যা সংকেত পাঠানো হয়। দিনের কাজের সময়ের ভাগে কর্মী বদলের সময় এটি ঘটে, এক্ষেত্রে তারা ব্যবস্থা ঠিক আছে কিনা তা নিশ্চিত করছিলেন, একজন কর্মী ভুল বোতাম চেপে দিয়েছেন।”
২০১৭ সালে হাওয়াই কর্মকর্তারা এক ঘোষণায় বলেন, তারা ‘কোল্ড ওয়ার’ যুগের পূর্ব সতর্কতা ব্যবস্থা আবার চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। আসন্ন আক্রমণ নিয়ে অধিবাসীদের সতর্ক করতে এই ব্যবস্থা ব্যবহৃত হয়। ১৯৯০ সালে স্থগিত করা এই ব্যবস্থা গেল বছর ১ ডিসেম্বর আবার চালু করা হয়। চালুর সময় বাজানো হয় একটি সাইরেন যা ৫০ সেকেন্ড ধরে চলছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের যোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফসিসি’র চেয়ারম্যান অজিত পাই টুইটারে এক ঘোষণায় বলেছেন, তার সংস্থা এই মিথ্যা সতর্কবার্তা নিয়ে নিজস্ব তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে।