সোমবার দুর্নীতির মামলায় আদালতে অভিযোগ অস্বীকার করে কেঁদেছেন স্যামসাং ইলেক্ট্রনিকস-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট লি জি ইয়ং। এ মামলায় তার ১২ বছরের জেল চেয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
Published : 07 Aug 2017, 08:44 PM
চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি লি-কে গ্রেফতার করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন হাই যে কেলেঙ্কারিতে অভিশংসনের শিকার হয়েছিলেন তার সঙ্গে জি ইয়ংয়ের মামলার সম্পর্ক রয়েছে।
স্যামসাংয়ের বিরুদ্ধে সরকারি সুযোগ-সুবিধার বিনিময়ে প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন হাইয়ের বান্ধবী চোই সুন সিল পরিচালিত ফাউন্ডেশনগুলোতে অনুদান দেওয়ার অভিযোগ আছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জি ইয়ং ও তার প্রতিষ্ঠান স্যামসাং।
স্যামসাংয়ের কর্ণধার লি কুন হি’র ছেলে এবং প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান কর্মকর্তা লি জি ইয়ং কে প্রথম জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় জানুয়ারিতে। তবে তখন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
মামলার রায়ে লি-কে ১২ বছরের সাজা দেওয়া হলে তিনি হবেন দক্ষিণ কোরীয়ার নির্বাহী কর্মকর্তাদের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদী সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি। তার বর্তমান আটককালীন সময় শেষ হওয়ার দুই দিন আগে ২৫ অগাস্ট এই মামলার রায় দেওয়ার কথা রয়েছে, বলা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে।
লি তার শেষ বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রেসিডেন্টসহ কাউকে আমি আমার ব্যক্তিগত স্বার্থে বা প্রতিষ্ঠানের জন্য কিছু করতে বলিনি।’ কথা বলার সময় কয়েকবার থেমে কান্না আটকানোর চেষ্টা করছিলেন তিনি।
“আমি গভীরভাবে অনুতপ্ত যে আমি এমন হতাশার জন্ম দিয়েছি এবং ক্ষমাপ্রার্থী,” যোগ করেন তিনি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর দাবির প্রেক্ষিতে কোনো মন্তব্য করেনি স্যামসাং।
২০১৪ সালে স্যামসাং চেয়ারম্যান লি কুন হি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কার্যত অবসরে যাওয়ার পর পুরো স্যামসাং গ্রুপ এখন পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে যচ্ছে। এই পুনর্গঠনের লক্ষ হল চেয়ারম্যানের ছেলে জি ইয়ংয়ের পথ পরিষ্কার করা যাতে তিনি প্রতিষ্ঠানের হাল ধরতে পারেন। জি ইয়ং বর্তমানে স্যামসাং ইলেক্ট্রনিক্সের ভাইস চেয়ারম্যান হলেও বাবার অবর্তমানে তিনিই স্যামসাং গ্রুপের প্রধান হিসাবে বিবেচিত। তার বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়ানো প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি বড় ধাক্কা।
খবর প্রকাশের সময় সোমবার প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার মূল্য কমেছে ০.৩ শতাংশ।