উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য নতুন ‘ডেস্কটপ ক্লায়েন্ট’ চালু করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। আর এর বিভিন্ন ফিচারকে মোবাইল সংস্করণের ‘প্রতিরূপ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে মেটা মালিকানাধীন মেসেজিং সেবাটি।
মেটা প্রধান মার্ক জাকারবার্গ বলেন, নতুন এই অ্যাপ ব্যবহারকারীদের ভিডিও কলে সর্বোচ্চ আটজন অংশগ্রহণকারী যুক্ত করার সুবিধা দেবে। আর অডিও কলের বেলায় এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৩২ জনে। ফলে, কোনো কোম্পানির মিটিং করা সহজ হবে ও পারিবারিক পুনর্মিলনীতে সকল মামা, খালা, চাচা-ফুপু এমনকি একটু দূরের আত্মীয়রাও এতে যোগ দিতে পারবেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট।
হোয়াটসঅ্যাপ বলছে, ভবিষ্যতে তারা এই সংখ্যা বাড়িয়ে এর চেয়েও বড় কল পরিচালনার সুযোগ দেবে।
নতুন ক্লায়েন্টের উন্নত কলিং ফিচারের ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি সাম্প্রতিক কিছু আপগ্রেড নিয়েও কাজ করেছে কোম্পানিটি। এর মেসেঞ্জার আপডেটে একাধিক ডিভাইস যুক্ত করার সুবিধা এসেছে। ফলে, এতে তুলনামূলক সহজ ও দ্রুত উপায়ে বিভিন্ন নতুন ডিভাইস ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টে যোগ করা যাবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে এনগ্যাজেট।
পাশাপাশি, তুলনামূলক ভালো ‘সিঙ্কিং’ ব্যবস্থা চালু করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। এর ফলে, এক সঙ্গে চারটি লিংকযুক্ত ডিভাইসে নিজস্ব চ্যাটিং ব্যবস্থায় প্রবেশাধিকার পাবেন ব্যবহারকারী।
সেবাটি নিজেদের মূল ‘মাল্টি-ডিভাইস সিঙ্কিং’ ব্যবস্থা চালু করে ২০২১ সালে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীর ফোন অফলাইন বা কাছাকাছি না থাকলেও তিনি নিজের অ্যাকাউন্টে প্রবেশের সুযোগ পান। ব্যবহারকারীরা যেন একাধিক ডিভাইসে মেসেঞ্জার ব্যবহার উপভোগ করতে পারেন, হোয়াটসঅ্যাপ নিশ্চিতভাবেই বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে তুলনামূলক ভাল অ্যাপের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি বুঝতে পেরেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে এনগ্যাজেট।
২০২২ সালে উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমে নিজেদের প্রথম একক অ্যাপ চালু করে হোয়াটসঅ্যাপ। আর জানুয়ারিতে অ্যাপটির বেটা সংস্করণ বিদ্যমান সকল ম্যাক ব্যবহারকারীর জন্য উন্মুক্ত করে দেয় সেবাটি। যেহেতু এই অ্যাপ ম্যাক হার্ডওয়্যারের জন্য অপটিমাইজ করা, তাই এটা অ্যাপলের পূর্ববর্তী ডেস্কটপ অপারেটিং সিস্টেমের ওয়েব ভিত্তিক অ্যাপের চেয়ে ভালো কাজ করে।